TMC

যাঁরা যেতে চান তাঁরা দল থেকে বিদায় নিন, বিজেপি-র ‘বেসুরো’দের বার্তা লকেটের

হুগলির তৃণমূল নেতা দিলীপ যাদবের পাল্টা খোঁচা, ‘‘যাঁরা চাটার্ড বিমান ধরেছিলেন তাঁরা দলের সম্পদ ছিল। এখন বিপদ মনে হচ্ছে কেন?’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ১৯:২৯
Share:

সিঙ্গুরে বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। নিজস্ব চিত্র

যাঁরা বেসুরো তাঁরা দল থেকে বিদায় নিন। এমনই ‘পরামর্শ’ দিচ্ছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বিপুল পরাজয়ের পর থেকেই বেসুরো বাজতে শুরু করেছেন পদ্মশিবিরের একাধিক দলবদলু নেতা। সেই আবহেই বুধবার এমন মন্তব্য করেছেন লকেট।

Advertisement

হুগলির সিঙ্গুর এবং পোলবা-দাদপুরে গত সোমবার বজ্রপাতে মারা গিয়েছিলেন ১১ জন। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে বুধবার দেখা করেন হুগলির সাংসদ। সেখানে লকেট বলেন, ‘‘যাঁরা বেসুরো গাইছেন তাঁরা যে বেসুরো হবেন তা আগে থেকেই টের পাচ্ছিলাম। যাঁরা যেতে চান তাঁরা বিদায় নিন। তাঁরা স্বার্থ নিয়ে দলে এসেছিলেন।’’ ঘটনাচক্রে তৃণমূল তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠনের পর থেকেই বেসুরো একাধিক বিজেপি নেতা। জোড়াফুল শিবিরে ফেরার ইচ্ছা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে ফেলেছেন সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাসের মতো কয়েক জন। অতি সম্প্রতি ৩৫৬ ধারা নিয়ে সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যাওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এমনকি বিজেপি নেতা তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় এবং তাঁর পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।

বুধবার লকেটের ‘বেসুরো’ মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে জোড়াফুল শিবির। তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের খোঁচা, ‘‘নির্বাচনের আগে যাঁদের চাটার্ড বিমানে করে নিয়ে গেলেন, তাঁরা তো আপনাদের সম্পদ ছিল। এখন তাঁদের বিপদ মনে হচ্ছে কেন? আসলে যাঁরা সে সময় ওই দলে গিয়েছিলেন তাঁরা ওদের সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছেন না। দলে কে আসবে বা কাকে নেওয়া হবে তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ঠিক করবেন।’’

Advertisement

সম্প্রতি হুগলি এবং আসানসোলে গিয়ে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তা নিয়ে লকেটের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কিছু কিছু লোক আছেন যাঁরা দলের ভাল যাঁরা চান না। তাঁরা রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, হুগলিতে দিলীপের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় লকেটকেও। যা নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপি-র প্রাক্তন হুগলি জেলা সভাপতি সুবীর নাগের বিরুদ্ধে। বিধানসভা ভোটে লকেটকে চুঁচুড়া কেন্দ্র থেকে দল প্রার্থী করায় ক্ষোভে রাজনৈতিক সন্ন্যাস গ্রহণের ঘোষণা করেছিলেন এই সুবীরই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement