বিপজ্জনক: আগুন লাগল আবর্জনার পাহাড়ে। সোমবার, হাওড়ার বেলগাছিয়ায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
লিলুয়ার বেলগাছিয়া ভাগাড়ের স্তূপীকৃত আবর্জনায় আগুন লেগে ফের আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। রবিবার রাতে ওই আগুন লাগার পরে সোমবার সকালে দেখা যায়, গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। যা দেখতে পাওয়া যায় অনেক দূরের এলাকা থেকেও। খবর পেয়ে চলে আসে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। পুরসভা পাঠিয়ে দেয় জলের ট্যাঙ্কার। তবে রাত পর্যন্ত আগুন নেভানো যায়নি। পুরসভার বক্তব্য, ওই ভাগাড়ে জমে থাকা মিথেন গ্যাস থেকে প্রায়ই এ ভাবে আগুন লাগে। এ বারের আগুন অনেকটা অংশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় ধস নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
হাওড়ায় গত ২০ বছর ধরে বিকল্প কোনও ভাগাড় তৈরি না হওয়ায় বর্তমানে বেলগাছিয়া ভাগাড়ের উচ্চতা একটি বারোতলা বাড়ির সমান হয়ে গিয়েছে। আবর্জনা ফেলার জায়গা আর নেই বললেই চলে। বিপুল আবর্জনার চাপে মাঝেমাঝেই ধস নামে সেখানে। ফলে আশপাশের বাসিন্দাদের কাছে ভাগাড়টি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জঞ্জালের পাহাড়ে মাঝেমধ্যে আগুনও লাগে।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলগাছিয়া ভাগাড়ে আগুন লাগে রবিবার রাতে। সোমবার সকালের দিকে দেখা যায়, ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ছে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা। পুরসভার তরফে দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ভাগাড়ের উত্তর দিকে রয়েছে একটি বস্তি। এক কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা। ফলে তীব্র আতঙ্ক দেখা দেয় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে। ধোঁয়ার উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভাকে বার বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মাঝে মাঝে ধস আর আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও পুর কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেননি। জয়প্রকাশ রাম নামে এলাকার এক বাসিন্দা বললেন, ‘‘ভাগাড়ের উচ্চতা যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে যে কোনও দিন বড়সড় ধস নেমে বিপদ হতে পারে। এ বারে আগুন লাগার পরে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। গন্ধে টেকাই দায় হয়ে উঠেছে।’’
হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভাগাড়ের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণেই সমস্যা হচ্ছে। মিথেন গ্যাস থেকে আগুন লেগে মাঝে মাঝেই এই বিপত্তি ঘটে। দমকল বাহিনীকে জলের গাড়ি পাঠিয়ে আগুন নেভাতে সাহায্য করছি আমরা। বিকল্প ভাগাড়ের ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’’