Bhadreswar

বিঘাটিতে কৃষিজমির মাটি কাটা রুখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা

বিঘাটি মৌজার পাত্রপাড়া-সহ কয়েকটি এলাকার কৃষিজীবীদের দাবি, বিনা অনুমতিতে এতদিন মাটি ও বালি তোলার কাজ চলছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভদ্রেশ্বর শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২৫
Share:

বিঘাটিতে এখানেই মাটি কাটা চলছিল। নিজস্ব চিত্র

রাতের অন্ধকারে ভদ্রেশ্বরের বিঘাটি পঞ্চায়েতের বিঘাটি মৌজার বিভিন্ন কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। এর ফলে, যে জমিতে কোপ পড়ছে, তার আশপাশের জমি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকছে চাষিদের। অনেক ক্ষেত্রে, মাটি কাটার সময়ে জমি থেকে বালিও উঠছে। তা ট্রাক্টরে তুলে পাচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এলাকাবাসী আগেই জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার থেকে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে পালাড়া গ্রামের একটি বড় জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন।

Advertisement

ব্লক (সিঙ্গুর) ভূমি দফতর থেকে অবশ্য মাটি কাটা রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কৃষিজমি থেকে বালি তোলা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। মাটি কাটা ও বহন করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি না থাকলে সেটাও বেআইনি। ওই জায়গায় তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বিঘাটি পঞ্চায়েতের প্রধান দীপক পাকিরা বলেন, "এলাকার চাষিদের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। কৃষিজমির মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয় ভূমি দফতর থেকে। চাষিদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

বিঘাটি মৌজার পাত্রপাড়া-সহ কয়েকটি এলাকার কৃষিজীবীদের দাবি, বিনা অনুমতিতে এতদিন মাটি ও বালি তোলার কাজ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে প্রশ্ন করলেও মাটি-কারবারিরা ভূমি দফতরের কোনও বৈধ অনুমতিপত্র দেখাতে পারেনি। তাই রাতের অন্ধকারে মাটি ও বালি তুলে অন্যত্র পাচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

গ্রামবাসীদের মধ্যে সুশান পাত্র, মাধব পাত্র ও বাসুদেব পাত্র জানান, কয়েক বছর ধরে মাটি-মাফিয়ারা এই মৌজায় বাগান ও চাষের জমিতে থাবা বসিয়েছে। ওই সব জমি থেকে এমন ভাবে গভীর করে মাটি কাটা হচ্ছে যে, এর ফলে পাশের জমিতে ধস নামার আশঙ্কা থাকছে। সেখান থেকে বালি তুলেও পাচার করা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে রাতের অন্ধকারে মাটি ও বালিতোলা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।

যো জমির মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তার পাশেই বাগান রয়েছে পালাড় গ্রামের বাদল পাল নামে এক কৃষকের। তিনি বলেন, "মাটি-মাফিয়াদের অনেক দুর পর্যন্ত হাত। চাষের স্বার্থে সকলকে একসঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে। না হলে এই এলাকায় চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে। ধানজমিতে জল দাঁড়াবে না। জলের অভাবে আনাজ চাষও বন্ধ হয়ে যাবে। প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement