—নিজস্ব চিত্র।
শতবর্ষ পেরিয়েছেন কনকলতা ভট্টাচার্য। সরকারি আইন অনুযায়ী শতবর্ষ পেরোলে দ্বিগুণ পেনশন দিতে হয় পেনশনভোগীকে। সেই মতো শুক্রবার ওই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে সম্মান জানিয়ে দ্বিগুন পেনশন চালু করে দিলেন হাওড়া পুরসভার আধিকারিকেরা। তাঁরা জানালেন, হাওড়া পুরসভার ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন ঘটনা।
হাওড়ার আন্দুলের পাঁচপাড়া এলাকার বাসিন্দা কনকলতা। বয়স ১০৩ বছর। তাঁর স্বামী শঙ্কর ভট্টাচার্য হাওড়া পুরসভার মোটর বিভাগের কর্মী ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর পেনশন পেয়েই আসছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রী কনকলতা পেনশনভোগী হন। রাজ্য সরকারের রোপা (রিভিশন অফ পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স) পেনশন আইন অনুযায়ী শতবর্ষ পার হলে পেনশনভোগীর পেনশন দ্বিগুণ হয়। সেই নিয়মানুসারে কনকলতার পেনশন দ্বিগুণ হয়। হাওড়া পুরসভায় এই ঘটনা প্রথম। শুক্রবার হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী, কন্ট্রোলার অফ ফাইন্যান্স অরুণাভ ঘোষ-সহ কয়েক জন আধিকারিক কনকলতার বাড়ি যান। তাঁকে সম্মান জানিয়ে মিষ্টিমুখ করান। এর পর পুরসভার পেনশন সংক্রান্ত কাগজে বৃদ্ধার টিপসই নেন।
সুজয় বলেন, ‘‘আজ থেকে দ্বিগুণ পেনশন চালু হয়ে গেল কনকলতা ভট্টাচার্যের। হাওড়া পুরসভায় এটা নজিরবিহীন ঘটনা।’’ এতে ঘটনায় খুশি ভট্টাচার্য পরিবার। নাতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পেনশন যে ডবল হতে পারে, তারা জানতেন না। আর কনকলতা কথা না বললেও মিষ্টিমুখ করে চেয়ারম্যানকে আশীর্বাদ করে বুঝিয়ে দিলেন তিনিও খুশি।’’