প্রতিমা নিয়ে এগিয়ে চলেছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা। — নিজস্ব চিত্র।
রেশ রেখে মিলিয়ে গেল হুগলির চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর আলো। বৃহস্পতিবার ছিল দশমী তিথি। সেই উপলক্ষ্যে দিন ভর চলে বিসর্জনের পালা। প্রতি বার জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন দেখতে বহু মানুষের ভিড় হয় হুগলির ওই জনপদে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না।
জগদ্ধাত্রী পুজোর মতো তার জাঁকজমকপূর্ণ শোভাযাত্রাও চন্দননগর শহরের মুকুটের অন্যতম পালক। করোনার কারণে গত কয়েক বছর হয়ে ওঠেনি সেই শোভাযাত্রা। তাই দেখা হয়নি আলোর শহরের আলোর জাদুও। চন্দননগর-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অপেক্ষায় ছিলেন সেই শোভাযাত্রা দেখার। সেই অপেক্ষার অবসান হল এ বার। দশমীর সন্ধ্যায় অন্ধকার নামতেই শুরু হল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীর শোভাযাত্রা। যা দেখতে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় জমল গঙ্গাপারের ওই শহরের রাজপথে। তালাডাঙা, সরিষাপাড়া,উর্দিবাজারের জগদ্ধাত্রী একে একে এগিয়ে চলল তালডাঙা, পালপাড়া রোড, বিদ্যালঙ্কা মোড়, বাগবাজার হয়ে জ্যোতির মোড়ের দিকে। সেই সঙ্গে তা দেখতে শহর জুড়ে জমল থিকথিকে ভিড়।
প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রায় রকমারি আলো। — নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিবাদাবাদের খড়গ্রাম থেকে চন্দননগরের ওই শোভাযাত্রা দেখতে এসেছিলেন রঘুপতি মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘‘চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু, নিজের চোখে হয়নি কখনও। দেখআ হয়নি এই শহরের আলোর রোশনাইও। তাই আত্মীয়ের বাড়িতে এসে এই শোভাযাত্রা দেখতে এলাম। খুব ভাল লাগল। অন্য রকম অভিজ্ঞতা হল। এত মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে শোভাযাত্রা দেখে তা কখনও ভাবতে পারিনি।’’
জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রায় ভিন্ন আকর্ষণ চন্দননগরের আলো। — নিজস্ব চিত্র।
বছর দু’য়েক পর শোভাযাত্রা দেখতে পেয়ে আপ্লুত অনেকেই। তেমনই চন্দননগরের হরিদ্রাডাঙার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘রাতে শোভাযাত্রা দেখার মজাটাই আলাদা। অনেক সময় হয় ঠাকুর আসতে দেরি হচ্ছে, তখন পায়ে হেঁটে অনেকটা পথ ঘুরে আলোর গাড়িগুলো দেখে নিই। উৎসব চলে যাবে। কিন্তু থেকে যাবে আলোর এই রেশটা’’