সাত ভাইয়ের জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। —নিজস্ব চিত্র।
এক সময় এলাকায় পুজো হত না। তাই চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সাত ভাই বলাগড়ের বাকুলিয়া ধোবাপাড়া পঞ্চায়েতের মুড়াগাছা গ্রামে দেবী সিংহবাহিনীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। অর্থ কম থাকায় পাটকাঠি ও দরমার বেড়ার চালা দিয়ে ঘর বানিয়ে শুরু হয় পুজো। সেই পুজো পেরিয়েছে ১০০ বছর। এই পরিবারের পুজো নিয়েই মেতে ওঠেন গ্রামের বহু মানুষ। গুপ্তিপাড়া জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপেও রয়েছে এই পারিবারিক পুজোর নাম।
পরিবারের বর্তমান সদস্য রাজেন চট্টোপাধ্যায় জানান, এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজো না থাকায় গ্রামের মানুষদের পুজোর আনন্দ দিতে সাত ভাই (সত্যপদ, অভয়পদ, কৃষ্ণধন, বিষ্টুপদ, জিতেন্দ্রনাথ, নরেন্দ্রনাথ ও ললিত) কোনও রকমে বেড়ার ঘর তৈরি করে পুজো শুরু করেন। ঘরটি ভগ্ন হওয়ায় পরবর্তী সময়ে পাকা বাড়িতেই জমিয়ে চলে পুজো।
বাড়ির আর এক সদস্য অনিমেষ চট্টোপাধ্যায় জানান, ষষ্ঠী, সপ্তমী ও অষ্টমী এই তিন দিনের পুজো নিয়ম মেনে হয় নবমীর দিনে। নবমীতে কুমারী পুজোও হয়। এখানে চালকুমড়ো, আখ, কলা বলির প্রথা রয়েছে। চলে যজ্ঞও। পরিবারের সকলে দেবীর সামনে ১০৮টি মাটির প্রদীপ জ্বালান। দশমীতে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দেবীকে গ্রামের পুকুরে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। যোগ দেন গ্রামবাসীরা। বিসর্জনের সময় দেবীর মুখ থাকে জলের দিকে।
গুপ্তিপাড়া জগদ্ধাত্রী পুজোর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুব্রত মণ্ডল জানান, এই পুজোটি গত বছরথেকেই গাইড ম্যাপের তালিকায় নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল। এ বার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে তা করা হল। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবেই বাড়ির পুজোগুলি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত হোক।’’