শুভারম্ভ: চলছে হাতেখড়ি।
হাতেখড়ি হয় সাধারণত সরস্বতী পুজোয়। মঙ্গলবার হাওড়ার ডোমজুড়ের দক্ষিণবাড়ি পণ্ডিতপাড়ায় ২০ জনের বেশি শিশুর হাতেখড়ি হল মাতৃভাষা দিবসে। স্থানীয় ‘কিশোরবাহিনী’র উদ্যোগ। রাজাপুর দক্ষিণবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাকেশকুমার চন্দ্রের গলায় উচ্ছ্বাস, ‘‘এই দিনে শিশুদের হাতেখড়ি দিয়ে আমার শিক্ষক জীবন পূর্ণতা পেল।’’
আলোচনা সভা, গীতিআলেখ্যর মাধ্যমে দিনটি পালিত হয় পাঁচলার গঙ্গাধরপুর শিক্ষণ মন্দিরে। সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ সন্তোষকুমার দাস। উলুবেড়িয়া পুরসভার উদ্যোগে পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
পান্ডুয়ায় শশীভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শোভাযাত্রা বের করে। বৈদ্যবাটী উৎসব ও মেলা কমিটির উদ্যোগে পদযাত্রা হয়। ছিল নানা অনুষ্ঠান। বঙ্গভাষা ও সংস্কৃতি চেতনা মঞ্চ, বাংলা পক্ষের তরফেও বৈদ্যবাটীতে অনুষ্ঠান হয়েছে। সন্ধ্যায় শেওড়াফুলিতে শহিদ স্মরণে পথসভা করে সিপিএম।
আরামবাগের সবুজায়নের উদ্যোগে সকালে ‘ভাষার জন্য হাঁটুন’ পদযাত্রা হয়। বিকেলে রবীন্দ্রভবনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনায় সংগঠনের কর্ণধার চিকিৎসক মনোজিৎ মুখোপাধ্যায়, মহকুমাশাসক সুভাষিণী ই, স্থানীয় সাংসদ অপরূপা পোদ্দারেরা উপস্থিত ছিলেন। মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে অনুষ্ঠান হয় গোঘাটের মূলেরপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
সোমরায় বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতির উদ্যোগেও নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। জিরাট কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মৃণাল সেনের একাধিক ছবির অভিনেতা, সোমরা বাজারের সুখড়িয়ার বাসিন্দা প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়কে সংবর্ধিত করা হয়। আর্থিক ভাবে শিল্পী খুবই সমস্যায় আছেন বলে জানান এ দিনের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা।
‘গাছ বাঁচাও পৃথিবী বাঁচাও’ নামে একটি সংগঠনের সহযোগিতায় বৃক্ষরোপণ হয় শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে। ভাষা শহিদদের স্মৃতিতে পনেরোটি গাছ লাগানো হয়েছে। রোগীর আত্মীয়েরাও গাছ লাগান।