bank fraud

Bank Fraud: পাশবই দেখে মাথায় হাত! ব্যাঙ্ক-গ্রাহকদের তিন কোটি টাকা গায়েব করেছেন ক্যাশিয়ার?

মাস চারেক আগে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গুড়াপ শাখায় ওই গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্রের ক্যাশিয়ার সৌমেন বাগুইয়ের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুড়াপ শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৪০
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

প্রায় সাত মাস আগে হঠাৎই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গুড়াপ শাখার গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্র। অন্য শাখায় গিয়ে পাশবই আপডেট করতে গিয়ে মাথায় হাত ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের! তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও বিপুল পরিমাণ টাকা। অভিযোগ, গুড়াপের ওই কেন্দ্রের ক্যাশিয়ারই গায়েব করেছেন প্রায় তিন কোটি টাকা। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন একাধিক গ্রাহক। বুধবার কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে গুরাপ থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মাস চারেক আগে দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গুড়াপ শাখায় ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের ক্যাশিয়ার সৌমেন বাগুইয়ের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার পর থেকে অধরাই ছিলেন তিনি। বুধবার পুলিশের জালে পড়েন সৌমেন। তাঁকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতে তাঁকে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে।

Advertisement

স্থানীয় গ্রাহকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় গুড়াপ থানার খানপুরের ওই গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্রটি। এর পর থেকেই একের পর এক প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। ওই পরিষেবাকেন্দ্রের প্রায় একশো জন গ্রাহকের সকলেই প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ।

ওই পরিষেবাকেন্দ্র থেকে টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গুড়াপ থানার চোপড়ারর বাসিন্দা মাম্পি রায়ও। মাম্পির দাবি, “আমার স্বামী পঞ্জাব থেকে গুড়াপের ওই কেন্দ্রের মাধ্যমে আমাকে টাকা পাঠাতেন। আমার অ্যাকাউন্টে প্রায় চার লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল। সেখান থেকে ধাপে ধাপে দু’লক্ষ টাকা তুলেছিলাম। ফেব্রুয়ারিতে ওই কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। এর পর গুড়াপ লাগোয়া বর্ধমানের শুরেকালনায় ওই ব্যাঙ্কের একটি শাখায় গিয়ে পাসবুক আপডেট করে দেখি, সব টাকা উধাও।”

Advertisement

মাম্পির মতোই অভিজ্ঞতা হয়েছে ওই কেন্দ্রের সমস্ত গ্রাহকের। এর পর ওই পরিষেবাকেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতারণার বিষয়ে গুরাপ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন একাধিক গ্রাহক। তাঁদের অনেকের অভিযোগ, টাকা ফেরতের আশায় কখনও পঞ্চায়েত, কখনও বা থানায় ঘুরলেও সহযোগিতা পাননি। গুড়াপের হাজিগড়ের এক গ্রাহক বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে টাকা ফেরতের আশায় পঞ্চায়েত এবং থানার দ্বারস্থ হলেও কোনও সাহায্য পাইনি। ওই গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্র থেকে প্রায় দু’তিন কোটি টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement