Jagannath Sarkar

Jagannath Sarkar: নিজের এলাকাতেই তাড়া খেয়ে পালালেন শান্তিপুরের বিজেপি সাংসদ

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে। বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:২২
Share:

বিজেপি সাংসদ এলাকায় ঢুকতেই বিক্ষোভ শুরু হয় (বাঁ দিকে)। সাংসদ জগন্নাথ সরকার (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।

আগে সাংসদ পিছনে উত্তেজিত জনতা! এমনই ছবি ধরা পড়ল শান্তিপুরের বেলঘরিয়ায়। নিজেরই এলাকায় তাড়া খেয়ে ‘পালাতে’ হল শান্তিপুরের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও রকমে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁকে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে। শান্তিপুরের বেলঘরিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে আনাস্থা ভোট চলছিল। আনাস্থা ভোটের আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি। সকাল থেকেই তাই ওই এলাকায় পরিস্থিতি সরগরম ছিল। গন্ডগোল হওয়ার আশঙ্কায় তাই আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করেছিল প্রশাসন। নির্ধারিত সময়ে ভোটও শুরু হয়। তত ক্ষণে ভোটকেন্দ্রের আশপাশে প্রচুর তৃণমূলকর্মী জমায়েত করেছিলেন।

কিন্তু ছবিটা বদলে যায় সাংসদ ওই এলাকায় পা রাখতেই। তাঁকে দেখে হৈ হৈ করে ওঠেন তৃণমূল কর্মীরা। সাংসদকে লক্ষ্য করে ‘দূর হটো…দূর হটো’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। সাংসদ ভোটকেন্দ্রে ঢুকতেই পিছনে বিশাল ভিড় অনুসরণ করে সেখানে হাজির হয়। সঙ্গে চলতে থাকে স্লোগানও। বেগতিক দেখে তত ক্ষণে ভিড় হটাতে শশব্যস্ত হয়ে পড়েন মোতায়েন থাকা পুলিশকর্মীরাও। সাংসদের নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁকে কোনও রকমে আড়াল করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। তার পর সেখান থেকে চলে যান সাংসদ। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রানাঘাটের এসডিপিও প্রবীর মণ্ডল।

Advertisement

বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাঁর কথায়, “পুলিশ, প্রশাসন শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়েছে।” যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের পাল্টা দাবি, সুষ্ঠু ভাবেই ভোট চলছিল। বিজেপি সাংসদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement