চার জনকে খুনের জন্য অস্ত্রগুলি সে-ই কিনে এনেছিল। প্রতীকী ছবি
হাওড়ার এম সি ঘোষ লেনে মা, দাদা, বৌদি এবং ভাইঝিকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিল ঘোষ পরিবারের ছোট ছেলে দেবরাজ ঘোষও। চার জনকে খুনের জন্য অস্ত্রগুলি সে-ই কিনে এনেছিল। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ঘটনার আট দিন পরে বর্ধমানের কাটোয়া থেকে দেবরাজকে গ্রেফতার করে আনার পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে, শুধু তার স্ত্রী পল্লবী নয়, সে নিজেও চার জনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় যুক্ত ছিল। পরে মৃতদেহের উপরে ছুরি, কাঁচি দিয়ে উন্মত্তের মতো স্ত্রীকে বার বার আঘাত করতে দেখে ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়।
গত ১০ অগস্ট হাওড়ার এম সি ঘোষ লেনে ছোট ছেলে দেবরাজ ও বৌমা পল্লবীর হাতে খুন হন দেবরাজের মা মাধবী ঘোষ, দাদা দেবাশিস ঘোষ, বৌদি রেখা ঘোষ ও ১৩ বছরের ভাইঝি তিয়াসা ঘোষ। ওই ঘটনায় প্রথমে পল্লবীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও দেবরাজ পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারির পরে পল্লবী প্রথমে তার স্বামীকে আড়াল করার চেষ্টা করছিল। জেরায় পল্লবী জানিয়েছিল, সে একাই চার জনকে খুন করেছে। কিন্তু তদন্তকারীদের দাবি, গত বৃহস্পতিবার দেবরাজকে গ্রেফতার করার পরে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়েজিজ্ঞাসাবাদ শুরু হলে সে-ও এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘চার জনকে খুনই পূর্ব পরিকল্পিত। তা না হলে অস্ত্রগুলি কিনে আনা হত না।’’
এ দিকে, এমন নৃশংস ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের মনকে কতটা নাড়া দিয়েছে এই ঘটনা, তা বোঝাতে ওই বাড়ির সামনে মাধবী-সহ চার জনের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড টাঙিয়ে ফুল-মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তাঁরা। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানে জ্বালানো হয় মোমবাতিও। পাশাপাশি, অভিযুক্ত দেবরাজ ও পল্লবীর চরম শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন বাসিন্দারা।