Howrah Municipality

হাওড়া পুরভোটের ঢাকে কাঠি! ফিরহাদের ইঙ্গিতের পরেই ওয়ার্ড তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত

হাওড়ায় উন্নয়নের মাপকাঠিতে যে সব বড় ওয়ার্ড পিছিয়ে রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে সরকারি সুযোগসুবিধা পৌঁছে দিতে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১৭:১৯
Share:

ফিরহাদ হাকিমের ইঙ্গিতের পরেই তোড়জোড়!

আসন পুনর্বিন্যাসের পরেই হাওড়ায় পুরভোট হতে পারে বলে জল্পনা ছিলই। পুনর্বিন্যাসের সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ড ৬৬ করা হয়েছে ভেঙে। কোন ওয়ার্ডের এলাকা কতটা হবে, তা নিয়ে শীঘ্রই তালিকা প্রকাশিত হবে বলে সোমবারের সর্বদল বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, রবিবারই রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ইঙ্গিত দিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গেই হাওড়ার পুরভোট হতে পারে। তার পরেই সর্বদল বৈঠক ডেকে ওয়ার্ড বিন্যাসের তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। যা আদতে নির্বাচনের প্রথম ধাপ বলেই মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

হাওড়ায় উন্নয়নের মাপকাঠিতে যে সব বড় ওয়ার্ড পিছিয়ে রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে সরকারি সুযোগসুবিধা পৌঁছে দিতে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুনর্বিন্যাসের পর হাওড়ায় ওয়ার্ড সংখ্যা ৬৬। এই ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল বিরোধী কাউন্সিলরদের। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সঠিক পদ্ধতি মেনে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস করা হয়নি। যদিও শেষমেশ ওই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, সোমবার তা নিয়েই বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হওয়ার কথা বিশদ জানানো হয় বিরোধীদের।

বৈঠক শেষে হাওড়ার মহকুমাশাসক তরুণ ভট্টাচার্য জানান, সঠিক পদ্ধতি মেনেই ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বিবেচনা করা হয়েছে বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগও। শীঘ্রই ওয়ার্ডের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। তার পরেই প্রকাশিত হবে সংরক্ষণের তালিকা। যা পুরভোটের ঠিক আগের ধাপ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রবিবারই ফিরহাদ বলেছেন, ‘‘সারা বছর ধরে নির্বাচন চলতে থাকলে কাজে সমস্যা হয়। কাজ বাকি পড়ে যায়। তাই, পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গেই পুরভোট সেরে ফেলতে চায় রাজ্য। হাও়ডা, বালি ছাড়াও অন্তত ৭ পুরসভায় একই সঙ্গে পুরভোট হতে পারে।’’ গত বছর নভেম্বর মাসে হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করার প্রস্তাবে বিধানসভায় বিল পাশ করা হলেও, প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তা আটকে দিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের কাছে। সেই জবাব না মেলায় তিনি হাওড়া বিলে সায় দেননি। ফলে, ২০১৮ সাল থেকে আটকে রয়েছে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন। ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে আগেই জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ। তিনি বিলে স্বাক্ষর করলেই ভোটের জন্য প্রস্তুতি নেবে কমিশন। তার আগেই সেরে ফেলা হল পুর্নবিন্যাসের কাজ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement