ফাইল চিত্র।
বছরের পর বছর ধরে নামমাত্র ভাড়ায় চলছে দোকান। হাওড়া শহরে পুরসভার ভাড়া দেওয়া দোকান সম্পর্কে এই তথ্য জেনে চমকে উঠেছেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যেরা। তাই এ বার সেই দোকানগুলির ভাড়া বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানো যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
কী ভাবে দোকানগুলির ভাড়া সময়োপযোগী করা যায়, তা নিয়ে সম্প্রতি পুরসভায় বৈঠক করেন চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী-সহ পুর আধিকারিকেরা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, হাওড়া শহরে এমন দোকানগুলি চিহ্নিত করে ভাড়ার পরিমাণ পুনর্মূল্যায়নের জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে। যেমন ইতিপূর্বে হাওড়া ময়দানে শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামের ভিতরে থাকা দোকানগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, ১৯৯২ সালে প্রতি স্কোয়ার ফুটে ২ টাকা হিসেবে শৈলেন মান্না স্টেডিয়াম সংলগ্ন ২৯টি দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালে সেই ভাড়া বাড়িয়ে ৫ টাকা করা হয়। সম্প্রতি ওই এলাকার একটি দোকানের মালিক মিউটেশন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে এলে নামমাত্র ভাড়ার কথা সামনে আসে। এমনকি ভাড়া সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্রও দেখানে পারেননি দোকানমালিকেরা। তার মধ্যে ছ’টি দোকানমালিক সেগুলি অন্য ব্যবসায়ীকে ভাড়া দিয়েছেন। কাগজ ছাড়া কী ভাবে তাঁরা দোকান ভাড়া দিয়েছেন, সেটাই এখন বোধগম্য হচ্ছে না পুর কর্তৃপক্ষের।
পুরসভা সূত্রের খবর, ওই স্টেডিয়ামের মোট এক হাজার স্কোয়ার ফুট জায়গা জুড়ে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা ওই দোকানগুলি বছরের পর বছর নামমাত্র ভাড়া দেওয়ায় এক দিকে যেমন রাজস্বের বিপুল ক্ষতি হয়েছে, তেমনই ভাড়া সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আইনি জটিলতাও তৈরি হয়েছে। তাই স্থির হয়েছে, বর্তমান সময়ের নিরিখে প্রতি স্কোয়ার ফুটে কত ভাড়া হতে পারে, তার মূল্যায়ন করবে পুরসভার ভূমি ও রাজস্ব বিভাগ।
চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘রাজস্ব বাড়াতেই শৈলেন মান্না স্টেডিয়াম বা শানপুরের মতো এলাকায় ভাড়া দেওয়া দোকানগুলি পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সময়োপযোগী ভাড়া কী ভাবে আদায় যায়, সেটাই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’