নিজস্ব চিত্র।
ফের হাওড়ার মৌরিগ্রামে ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপোতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিল পশ্চিমবঙ্গ ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর ফলে তেলের আকাল দেখা দিতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার একাংশে।
শনিবার দুপুর থেকেই ওই ডিপোতে পেট্রল ও ডিজেলের লোডিং-আনলোডিং বন্ধ করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১১টি খুচরো জ্বালানির দোকান হলদিয়া ও রাজবাদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও প্রায় ৪০টি খুচরো দোকান সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে। অথচ, ট্যাঙ্কারের সংখ্যা এবং ভাড়া কোনওটাই বাড়ানো হয়নি প্রতিশ্রুতি মেনে। সেই কারণে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্যাঙ্কার মালিকেরা। সেই সঙ্গে আগামী ৩১ অগস্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা পাম্প ধর্মঘটকেও সমর্থন করেছে ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের সম্পাদক রাজ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে যে ধর্মঘট হয়েছিল, তাতে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ তাদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পুরোপুরি মানেননি।’’ ধর্মঘট চলতে থাকলে আশঙ্কা, শীঘ্রই কলকাতা, হাওড়া-সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির পাম্পও শুকিয়ে যাবে। ধর্মঘট না উঠলে কয়েক দিন পর থেকেই হাহাকার শুরু হবে শহরের পেট্রল পাম্পগুলিতে।
চলতি মাসের শুরুতেই অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট ডেকেছিল পশ্চিমবঙ্গ ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশন। মৌরিগ্রামে ইন্ডিয়ান অয়েলের যে ডিপো সেখানে গত ৪ অগস্ট একটি টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। তাতে অস্বাভাবিক হারে ভাড়া কমানো হয়েছিল। গাড়ি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৬০টির মতো। তার বিরুদ্ধেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য ট্যাঙ্কার ধর্মঘট ডেকেছিলেন মালিকেরা।