Howrah

Howrah: অনটন মেটাতে ওয়েভারে পথ খুঁজছে হাওড়া

দীর্ঘ দিন ধরে বকেয়া কয়েকশো কোটি টাকা সম্পত্তিকর আদায়ের জন্য ওয়েভার প্রকল্প চালু করছে হাওড়া। বকেয়া করের উপরে জমা সুদ ও জরিমানা মকুব হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২১ ০৭:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র।

হাওড়া পুরসভার আর্থিক সঙ্কট মেটাতে এ বার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে প্রশাসকমণ্ডলী। যার অন্যতম হল, দীর্ঘ দিন ধরে বকেয়া কয়েকশো কোটি টাকা সম্পত্তিকর আদায়ের জন্য ওয়েভার প্রকল্প চালু করা। এই প্রকল্পে বকেয়া করের উপরে জমা হওয়া সুদ ও জরিমানা মকুব করে দেওয়া হবে। ওয়েভার প্রকল্প চালু করার অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি, পুরসভার রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই চালু হচ্ছে অনলাইনে সম্পত্তিকর ও ট্রেড লাইসেন্স ফি দেওয়ার সুযোগ। সেই সঙ্গে এ বার পাড়ার গুমটি বা ফুটপাতে বসা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও সাফাইয়ের জন্য টাকা আদায় করা শুরু করছে হাওড়া পুরসভা। প্রশাসকমণ্ডলীর আশা, এর ফলে মানুষের সুবিধা হবে, পুরসভারও রাজস্ব বাড়বে।

Advertisement

হাওড়ায় গত তিন বছর ধরে নির্বাচিত পুর বোর্ড নেই। তার আগে থেকেই চলছে তীব্র অর্থসঙ্কট। যে কারণে শহরের উন্নয়নমূলক অনেক কাজই প্রায় বন্ধ। এই সঙ্কট থেকে রেহাই পেতেই পুরসভার নব নির্বাচিত প্রশাসকমণ্ডলী গত এক মাস ধরে একাধিক বার বৈঠকে বসে। সোমবার তেমনই একটি বৈঠকের পরে প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অরূপ রায় বলেন, ‘‘ওয়েভার প্রকল্প চালু করার আবেদন জানিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই প্রকল্পটি চালু করা হবে। অনলাইনে সম্পত্তিকর ও লাইসেন্স ফি দেওয়ার ব্যবস্থাও চালু করলাম আমরা। হোল্ডিং ও অ্যাসেসি নম্বর দিলেই অনলাইনে বিল পাওয়া যাবে।’’ অরূপবাবু জানান, একই সঙ্গে অফলাইনেও বিল পাওয়া যাবে। পুর কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিল দিয়ে আসবেন। সম্পত্তিকর দিয়েও কারা বিল পাননি, তা চিহ্নিত করে তাঁদের বাড়িতে বিল পৌঁছে দেওয়া হবে।

এ দিকে, হাওড়া পুর এলাকার রাস্তায় বা ফুটপাতে বসা বিক্রেতাদের থেকে সাফাই-ফি বাবদ মাসে ১০০ টাকা করে নিতে শুরু করবে পুরসভা। প্রশাসকমণ্ডলীর বক্তব্য, এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের নাম পুরসভার খাতায় নেই। অথচ, তাঁদের ফেলে যাওয়া পচা আনাজ বাজার থেকে পুরসভার কর্মীদেরই সাফ করতে হয়। এ বার ওই বিক্রেতাদের কাছ থেকে সাফাই-ফি আদায় করবে পুরসভা। একটি যন্ত্রের সাহায্যে ওই বিক্রেতাদের বিল দেওয়া হবে। আপাতত হরগঞ্জ বাজার, কদমতলা বাজার, কালীবাবুর বাজার, রামরাজাতলা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওই ফি আদায় করা হবে। এই প্রসঙ্গে অরূপবাবু বলেন, ‘‘এটা কোনও ট্যাক্স বা কর নয়, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাফাই-ফি বাবদ এই অর্থ নেওয়া হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement