Howrah Police

ছিনতাইয়ের তদন্তে নেমে হাওড়ায় অস্ত্র কারবারের হদিস

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৯ জুন ব্যাঁটরায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১১ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে কয়েক জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৩ ০৮:০৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ছিনতাইয়ের একটি ঘটনার তদন্তে নেমে আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারের হদিস পেল হাওড়া সিটি পুলিশ। উদ্ধার হল দু’টি সেভেন এমএম পিস্তল, একটি ছ’নলা বন্দুক ও ১৩০ রাউন্ড গুলি। তদন্তে নেমে সোমবার ব্যাঁটরা থানার পুলিশ প্রথমে লিলুয়ার বাসিন্দা পার্থ দাস ওরফে রনিকে গ্রেফতার করে। এর পরে রনির মাধ্যমে অস্ত্র কেনার টোপ দিয়ে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সুরজ রায়কে ডেকে পাঠায় তারা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ টিকিয়াপাড়ায় সুরজ যখন ব্যাগ ভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি নিয়ে রনিকে বিক্রি করতে আসে, তখনই তাকে ঘিরে ধরে হাতেনাতে পাকড়াও করেন হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, সুরজ ছাড়াও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাওড়ায় আর কেউ কারবার চালাচ্ছে কি না বা আগ্নেয়াস্ত্র কী উদ্দেশ্যে কেনা হচ্ছে, এ সব তথ্য জানতে ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৯ জুন ব্যাঁটরায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১১ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে কয়েক জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করে। যে বন্দুকের বাঁট দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে আঘাত করা হয়েছিল, সেটিও উদ্ধার করা হয়। ছিনতাইয়ের জন্য জোগাড় করা সেই আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে ছিনতাইকারীরা পেল, তা নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই রনির নাম উঠে আসে। এর পরে রনি ধরা পড়লে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ছিনতাইয়ের জন্য মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সুরজ তাকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, ছিনতাইয়ের টাকা দিয়েও তারা সুরজের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল।

পুলিশ জানায়, সুরজ যে রনিকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বিক্রি করত, সেই রনিও একটি ছিনতাইয়ের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। ধৃত রনি পুলিশকে জানিয়েছে, এর আগেও ছিনতাই করে পাওয়া টাকা দিয়ে সে সুরজের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল। এই তথ্য জানার পরেই পুলিশ এ দিন রনিকে দিয়ে ফোন করিয়ে দু’লক্ষ টাকার অস্ত্র কেনার টোপ দিয়ে সুরজকে ডেকে পাঠায়। সেই মতো টিকিয়াপাড়ার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সুরজ আসতেই তাকে আগ্নেয়াস্ত্র ভরা ব্যাগ সমেত ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, রনি লিলুয়ার কোনার তেঁতুলতলার পেয়ারাবাগান এলাকার বাসিন্দা। সুরজ কোথায় থাকে, সে কী ভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার করে, এ সব তথ্য রনিই তাঁদের দিয়েছে বলে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দাদের দাবি। তদন্তকারীদের ধারণা, এই অস্ত্র কারবারে হাওড়ার আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। এ জন্য ধৃত সুরজকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয় হাওড়া আদালতে। বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন। সুরজের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement