প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্টেশনে নামবেন বলে যাত্রীরা একে একে ট্রেনের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। কিন্তু, কোথায় কী! ট্রেন থামলই না। নির্দিষ্ট স্টপেজে না দাঁড়িয়ে একই গতিতে ছুটল হাওড়া-বর্ধমান সুপার লোকাল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, ভুল বুঝতে পেরে পরের স্টেশন থেকে আবার পিছনের দিকে এল ওই ট্রেন। একে একে গন্তব্যে নামলেন যাত্রীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমনই অবাক করা ঘটনা ঘটল হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায়।
সন্ধ্যা ৭টা ২ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছেড়েছিল ৩৭৮৪৯ আপ হাওড়া-বর্ধমান সুপার ট্রেন। নিয়মমাফিক ট্রেনটি শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি, চন্দননগরের পর চুঁচুড়া স্টেশনে দাঁড়ানোর কথা। কিন্তু মঙ্গলবার চুঁচুড়া স্টেশনে আর দাঁড়ায়নি নির্ধারিত সময় থেকে ২ মিনিট দেরিতে চলা ওই ট্রেন। সোজা গিয়ে দাঁড়ায় হুগলি স্টেশনে। যে যাত্রীরা চুঁচুড়া স্টেশনে নামতেন, তাঁরা চিৎকার শুরু করেন। পরে অবশ্য যাত্রীদের নামাতে চুঁচুড়া স্টেশনের দিকে পিছিয়ে আসে ট্রেনটি।
হাওড়া-বর্ধমান সুপার লোকাল গ্যালপিং বলে শহরতলির অনেক অফিসযাত্রী সময়ে বাড়ি ফেরার জন্য ওই ট্রেনের উপর ভরসা করেন। দীপক দাস নামে এক যাত্রীর কথায়, ‘‘চন্দননগর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। ৭ টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি চুঁচুড়ায় ঢুকলেও না দাঁড়িয়ে সোজা হুগলি চলে যায়। চুঁচুড়ার যাত্রীরা বুঝতে পারছিলেন না যে কী হল! অনেকে দরজার কাছে চলে আসেন। কিন্তু ট্রেনটি আর দাঁড়ায়নি। হুগলি স্টেশনে গিয়ে দাঁড়ায়। সেখান থেকে আবার ৮ টা ১ মিনিটে চুঁচুড়ায় ফিরে আসে ট্রেনটি।’’
চুঁচুড়া স্টেশনে যাত্রীদের নামিয়ে প্রায় ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর আবার গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় ট্রেনটি। রেল সূত্রে খবর, এতে চালকের ভুল ছিল নাকি অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। কী হয়েছিল, দেখা হচ্ছে।’’