Maintenance

লঞ্চ সারাতে পাশে রাজ্য, হুগলি নদী জলপথ সমবায় পেল সাড়ে সাত কোটি টাকা

রাজ্য সমবায় দফতর সূত্রের খবর, কিছু দিন আগেই ওই সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে ১৯টি লঞ্চ ড্রাই ডকিং বা সার্বিক মেরামতের জন্য রাজ্য সমবায় দফতর ও পরিবহণ দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছিল।

Advertisement

দেবাশিস দাশ

হাওড়া শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:০৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় একের পর এক লঞ্চ খারাপ হয়ে গঙ্গাতেই পড়ে ছিল। কোনওটি আবার ‘ড্রাই ডকিং’ না করায় বাতিল হয়ে গিয়েছিল যাত্রী পরিবহণের অনুমতি। লঞ্চ না থাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল একের পর এক রুট। যার ফলে এক দিকে আয় কমা এবং অন্য দিকে ১০ বছর ধরে টিকিটের মূল্য না বাড়ানোয় ক্রমাগত রুগ্ন হয়ে পড়ছিল হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। কলকাতা-হাওড়ার জলপথ পরিবহণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সমবায় সমিতির পাশে এ বার দাঁড়াল রাজ্য সরকার। ওই সংস্থারই পরিচালকমণ্ডলীর আবেদনের ভিত্তিতে সব ক’টি বসে যাওয়া লঞ্চ মেরামতির জন্য লোকসভা নির্বাচনের মুখেই রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এমন সাহায্য ওই সংস্থার জন্মলগ্ন থেকে প্রথম বার মিলল বলেই সমবায় সূত্রের খবর।

Advertisement

রাজ্য সমবায় দফতর সূত্রের খবর, কিছু দিন আগেই ওই সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে ১৯টি লঞ্চ ড্রাই ডকিং বা সার্বিক মেরামতের জন্য রাজ্য সমবায় দফতর ও পরিবহণ দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে অর্থ দফতর। এ ব্যাপারে রাজ্য সমবায় দফতরের এক পদস্থ কর্তা শনিবার বলেন, ‘‘মূলত রাজ্য পরিবহণ দফতর থেকে অর্থ দফতরকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, ওই সংস্থার বসে যাওয়া লঞ্চগুলি ড্রাই ডকিং করে মেরামত করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে। সংস্থার পক্ষ থেকে প্রথমে সমবায় দফতরকে জানানো হয়। সমবায় দফতর সেটি পরিবহণ দফতরকে জানায়। এর পরে দুই দফতরের মন্ত্রী ও সচিবদের পক্ষ থেকে অর্থ দফতরকে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছিল। তার পরেই অর্থ দফতর সাড়ে ৭ কোটি টাকা লঞ্চ মেরামতির জন্য মঞ্জুর করেছে।’’ তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই শালিমার শিপ বির্ল্ডাসের এমডি-র সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে ১৯টি লঞ্চই সম্পূর্ণ সারিয়ে গঙ্গায় নামানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছে।

দীর্ঘ কয়েক বছর পরে গত মার্চ মাসে রাজ্য সরকারের নির্দেশে ওই সমবায় সমিতিতে গঠিত হয় ১২ সদস্যের মনোনীত পরিচালকমণ্ডলী। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই পরিচালকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে দফায় দফায় রাজ্য সমবায় দফতর, পরিবহণ দফতর ও অর্থ দফতরে সংস্থাটির বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে অর্থ বরাদ্দের আবেদন করা হয়। শনিবার ওই সংস্থার পরিচালকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বাপি মান্না বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের দেওয়া টাকায় লঞ্চগুলি মেরামত হওয়ার পরেই আমরা বন্ধ হয়ে যাওয়া রুটগুলি চালু করে দেব। লঞ্চ বাড়লেই যাত্রী বাড়বে। এই সমবায় সংস্থাটি ফের বাঁচার সুযোগ পাবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement