হাওড়া পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতে আজ, বুধবার থেকে মাইকে প্রচার শুরু করার পাশাপাশি এক গুচ্ছ ব্যবস্থা নিচ্ছে হাওড়া পুরসভা। সেই সঙ্গে আজ থেকে সমস্ত পুরকর্মীর সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মণ্ডপ উড়ে গিয়ে বাসিন্দাদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য সেগুলি দ্রুত খুলে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। ঝড়ের মোকাবিলায় আজ থেকেই পুরসভায় খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। দুর্যোগের সময়ে বাসিন্দারা বিপদে পড়লে ওই কন্ট্রোল রুমে ফোন করতে পারবেন বলে মঙ্গলবার পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। পুরসভার কন্ট্রোল রুমের নম্বর হল: ৬২৯২২৩২৮৭০।
এ দিন ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রিন্সিপাল সচিবের সঙ্গে সমস্ত পুরসভার আধিকারিকদের ভিডিয়ো বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরে হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানান, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঝড়ের ফলে হাওড়ায় অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে পারে। যার জেরে বহু এলাকা জলমগ্ন হতে পারে। তেমনটা ঘটলে বৃষ্টির জল যাতে দ্রুত সরিয়ে ফেলা যায়, তার জন্য তিনটি ৩২ অশ্বশক্তির উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একটি ইছাপুরে, একটি রামরাজাতলায় ও একটি বেলগাছিয়ায়। এ ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দুর্যোগের সময়ে ত্রিফলা বাতিগুলির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, খোলা তার যাতে কোথাও না থাকে, তা-ও দেখা হচ্ছে। এই ব্যাপারে বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
পুরসভার চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘এই সব প্রস্তুতির পাশাপাশি খাবারের প্যাকেট, জলের পাউচ, ত্রিপল প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। চারটি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার বেশ কিছু
স্কুল ভবনকে ওই সময়ে খালি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জলমগ্ন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের এনে ওই সমস্ত স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পুরসভার তরফে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’’