জাল ফেলে স্থানীয়দের উদ্যোগে চলছে খোঁজ। ছবি: সুব্রত জানা
করোনার থাবা থেকে রেহাই মিলেছে অনেকটাই। তা হলেও কোভিড-বিধি মেনেই আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরে আসতে হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। এ ছাড়াও মানতে হবে কিছু বিধিনিষেধ।
এ বার ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দেবে নিজেদের স্কুলেই। নজরদারি করবেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই। সে ক্ষেত্রে তাঁদের একাংশ কতটা কড়া হবেন, তা নিয়ে শিক্ষক মহলেরই একাংশের প্রশ্ন রয়েছে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা অবশ্য আশ্বস্ত করছেন, সব দিক বিবেচনা করে নজরদারির সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে, অনভিপ্রেত কিছু ঘটবে না বলেই তাঁরা মনে করছেন।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, কোনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বা মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢোকা যাবে না। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এক জন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে সরকারি প্রতিনিধি থাকবেন। তিনি ওই স্কুলের সঙ্গে সম্পর্কিত নন। কাউন্সিল মনোনীত বা জেলা উপদেষ্টা কমিটির মনোনীত সদস্যও সার্বিক পরিস্থিতি তদারক করবেন। কোথাও খামতি দেখলে কাউন্সিলকে জানাবেন। তা ছাড়া, পরীক্ষাকেন্দ্রের নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে গোটা পরিস্থিতির উপরে পুলিশ নজর রাখবে। বাইরে থেকে টুকলি সরবরাহের চেষ্টার মতো পরিস্থিতি হলে পুলিশ আটকাবে। কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে। পরীক্ষা চলাকালীন ফটোকপির দোকান বন্ধ থাকবে।
হুগলির জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুর বলেন, ‘‘সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে পরীক্ষার জন্য সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি নিয়ে জেলা, মহকুমা, ব্লক স্তরেও বিভিন্ন দফতরকে নিয়ে সমন্বয় বৈঠক হয়েছে। সাধারণ প্রশাসন, স্বাস্থ্য, দমকল, বিদ্যুৎ, মোটরযান, পুলিশ সব দফতরের সমন্বয় থাকবে।’’ তিনি জানান, কোভিড-বিধি পুরোপুরি ভাবে মেনেই পরীক্ষা হবে। ছাত্রছাত্রীদের মাস্ক পরে আসতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ‘সিক-রুম’ থাকবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই ঘরে পরীক্ষা দেওয়া যাবে। এ ছাড়াও থাকছে ‘আইসোলেশন-রুম’। কারও করোনার উপসর্গ থাকলে ওই ঘরে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে হাওড়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর সুত্রেও জানানো হয়েছে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে যে দিন যে বিষয়ের পরীক্ষা, সে দিন সেই বিষয়ের শিক্ষককে পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র না দেখানো এবং তাঁকে ‘গার্ড’ দেওয়ানো যাবে না বলেও শিক্ষা দফতর থেকে স্কুলগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।