সিঙ্গুরের রতনপুরে এই সেই ডিজে বক্স। ছবি: দীপঙ্কর দে
এতদিন ডিজে-র দাপট তুলনায় কম ছিল গ্রামীণ হুগলিতে। কিন্তু শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে তারস্বরে ডিজে বাজল সিঙ্গুরের রতনপুরে আলুর আড়তের কাছে জলসত্র শিবিরে। জায়গাটি মন্ত্রী বেচারাম মান্নার বাড়ির কাছেই। যা শুনে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর প্রশ্ন, পুলিশের নজরদারি কি ঢিলে হয়ে গেল?
পুলিশের দাবি, অভিযোগ পেয়ে ওই জলসত্র শিবির থেকে একটি ডিজে বক্স এবং বাজানোর যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এ বার শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে গ্রামীণ হুগলিতে ডিজে বন্ধ করতে আগেভাগেই উদ্যোগী হয়েছিল পুলিশ প্রশাসন। বৈদ্যবাটী- তারকেশ্বর রোডের বিভিন্ন স্থানে ডিজে বক্স বাজানো নিষিদ্ধ, বাজালে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছিল। সেই সতর্কবার্তা প্রাথমিক ভাবে কাজে এসেছিল বলেও দাবি করেছেন অনেকে।
বস্তুত, এ বার শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে হুগলির শহরাঞ্চলে যে ভাবে ডিজে-র দাপট দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণ এলাকায় ততটা নয়। কিন্তু তাল কাটল রতনপুর। যথারীতি শনিবার রাত থেকে ডিজের দাপটে জেরবার হয়েছেন বালিখাল, উত্তরপাড়া বাজার, খেয়াঘাট, শখের বাজার, শিবতলা, হিন্দমোটর ধাড়সা থেকে কোন্নগরের বিস্তীর্ণ অংশের বাসিন্দারা।
উত্তরপাড়া কোতংয়ে একটি অভিজাত আবাসনের সামনে শনিবার রাতে দাপটে ডিজে বাজে। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘‘রাত ১ টা পর্যন্ত ওই দাপট চলে। ১০০ ডায়ালে ফোন করলেও পুলিশ ধরেনি।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক উত্তরপাড়া চক লেনের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘পাঁচ বছর ধরে দেখছি রাজ্যের শাসকদল এবং কেন্দ্রের শাসকদল রেষারেষি করে পূণ্যার্থীদের ডিজে-তে উৎসাহিত করছে। জলসত্র্রের জায়গাগুলিতেই ডিজে বাজছে। পুলিশ ঠুঁটো।’’
চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা র দাবি, ‘‘পুলিশ সাধ্যমতো ঠেকাতে চেষ্টা করছে। পূণ্যার্থীরা সংখ্যায় হাজারে হাজারে। সেখানে জোর খাটাতে গেলে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়াযায় না।’’