কারখানা খুলে যাওয়ায় খুশির হাওয়া শ্রমিক মহলে। —নিজস্ব চিত্র
শ্রমিক, মালিক এবং সরকার, এই তিন পক্ষের আলোচনায় অবশেষে কাটল জট। রবিবার খুলে গেল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুট মিল। সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস দেওয়ার পাঁচ দিন পর কারখানায় শুরু হল উৎপাদন।
আচমকা মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল শ্রমিকদের মধ্যে। তবে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর রবিবার জুট মিল খুলে যাওয়ায় খুশির হাওয়া শ্রমিক মহলে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘‘কোনও সমস্যা হলে জুট মিল বন্ধ রেখে নয়, খোলা রেখে আলাপ আলোচনা চালাতে হবে। আমরা গত কয়েক দিন ধরে মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বার বার বৈঠক করেছি। শুধু চন্দননগর গোন্দলপাড়া জুট মিলই নয়, রাজ্যে মোট ১০টি বন্ধ কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে হুগলিতে তিনটি কারখানা রয়েছে। এর ফলে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক কাজ ফিরে পাবেন।’’
গত কয়েক দিন ধরে গোন্দলপাড়া জুট মিলে উৎপাদন নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। ব্যাচিং বিভাগে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষ চাপ দিচ্ছিল বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। এর পর দুই শ্রমিককে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। এতে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যেই গত ৫ তারিখ সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস দেখতে পান।