বার্জার পেন্টসের কারখানায় ভয়াবহ আগুন
হাওড়ার শিবপুরে রঙের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জখম হলেন ২১ জন। বুধবার দুপুর নাগাদ শালিমারের বার্জার পেন্টসের কারখানায় আগুন লাগে। কারখানায় প্রচুর রাসায়নিক মজুত থাকার কারণে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ঘটনাস্থলে একে একে পৌঁছয় দমকলের মোট আটটি ইঞ্জিন। শুরু হয় আগুন নেভানোর চেষ্টা। আগুন যে সময় লাগে তখন কারখানা খোলা ছিল। তার ফলে বেশ কয়েক জন অগ্নিদগ্ধ হন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জখমদের মধ্যে চার জনকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিরা কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জখমদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কারখানার ম্যানেজারও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুর আড়াইটে নাগাদ জোরালো শব্দে একটা বিস্ফোরণ ঘটে। ওই আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখেন কারখানা চত্বর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। কারখানার পাশেই বসতি এলাকা থাকায় আশঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। যদিও কিছু ক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেয় দমকল বাহিনী। আগুন নেভানোর কাজে দমকল বাহিনীকে সাহায্য করেন স্থানীয়রাও। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রথমে ঘটনাস্থলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসেছিল। পরে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে থাকায় আরও ছটি ইঞ্জিন ডাকা হয়। ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যান সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ও। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এসিতে শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লাগে।
সূত্রের খবর, অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানায় ৭০-৮০ জন কর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের সকলকে কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, অর্থাৎ যাঁদের শরীর বেশি পুড়ে গিয়েছে, তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বার্জার পেন্টসের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অভিজিৎ রায়ের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, ওই সংস্থার ২১ জন কর্মী জখম হয়েছেন অগ্নিকাণ্ডে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বিপন্মুক্ত বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সংস্থার তরফে আহতদের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এসি-তে শর্ট সার্কিটের জেরে এই আগুন লেগেছে। তবে আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে অগ্নিকাণ্ডের কারণ।