হামলা: ভাঙা হয়েছে জানালার কাচ। নিজস্ব চিত্র
তিনি মদ খাওযার টাকা দিতে রাজি হননি। এই ‘অপরাধে’ শনিবার ভরদুপুরে এক শিক্ষিকার বাপের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল এক মত্ত যুবকের বিরুদ্ধে। চুঁচুড়ার পিপুলপাতির পাঠকবাগানের ঘটনা। অভিযুক্ত জিৎ অধিকারী ওই এলাকারই বাসিন্দা। স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে তার বাড়িতেই আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই সে বাড়ির পিছনের দরজা খুলে চম্পট দেয়। এ দিনের ঘটনার জেরে ওই এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয়েরা। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
শতাব্দী পাল নামে ওই শিক্ষিকার বাপের বাড়ি পাঠকবাগানে, জেলা শিক্ষা ভবনের পাশেই। তিনি সেখানেই থাকেন। গৃহশিক্ষকতা করেন। এ দিন ঘটনার সময়ে তাঁর স্বামী কাজে গিয়েছিলেন। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও ঘঠনার পর থেকে আতঙ্কে ভুগছেন।
শতাব্দী জানান, জিৎ তাঁর আত্মীয়। কিন্তু সে অসামাজিক কাজকর্মে যুক্ত থাকায় সম্পর্ক রাখেন না। শতাব্দী বলেন, ‘‘আজ সরাসরি ও নেশা করে আমার বাড়িতে এসে দরজায় ধাক্কা দেবে, মদ খাওয়ার জন্য ৫০ টাকা চাইবে, ভাবতেই পারিনি। আমি টাকা দিতে রাজি না-হওয়ায় ও ইট ছুড়ে জানলার কাচ ভাঙল। কোনও রকমে দরজা আটকে ঘরে ঢুকে পড়ি। ছাত্রছাত্রীরা পড়তে এলে জিতের দলবল আবার কিছু করে না বসে!’’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেখানে জিতের তাণ্ডব নতুন নয়। সে অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত। মাস কয়েক আগে একবার আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে কিছুদিন হাজতবাসের পরে বেরিয়ে ফের এলাকায় দলবল নিয়ে দাপাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক মহিলার অভিযোগ, শিক্ষা ভবনের আশপাশে মদ-জুয়ার আসর বসে। রাতে তো বটেই দিনের আলোতেও মদ্যপদের তাণ্ডব চলে। অনেকেই এর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান। এ দিনের ঘটনার পর সকলেই ওই এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে পুলিশি টহলের দাবি তোলেন।
স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য আসলাম খান বলেন, ‘‘জিৎ বাইরের কিছু যুবককে নিয়ে নিজের ঘরেই আসর বসায়। দিনভর চলে গালিগালাজ। ওর জন্যই বহিরাগতেরা প্রকাশ্যে মদ খাওয়ার সাহস পায়।’’
পুলিশ জানায়, ওই এলাকায় প্রকাশ্যে মদ-জুয়ার আসরের যে অভিযোগ এবং পুলিশ টহল বাড়ানোর দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।