Goghat

বৃষ্টি কম, ধান রোপণে দেরি চিন্তা বাড়াচ্ছে হুগলির চাষিদের

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষা মরসুমে জুন ও জুলাই দু’মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের হিসাব ৪৫০.৩৭ মিলিমিটার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩ ০৯:৩৩
Share:

ধান চাষ শুরু হয়নি। ফাঁকা জমি পড়ে গোঘাটে।

চলতি জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে আমন ধান রোপণের সময়। এ দিকে, আকাশে বৃষ্টি নেই। ফলে ধান রোপণের জন্য জমি চষে কাদা করা যায়নি। তার জেরে রোপণও শুরু হয়নি। এই অবস্থায় সেচের জল কিনে বীজতলাগুলো অন্তত যাতে রক্ষা করা যায় সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন চাষিরা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে জেলার সমস্ত সরকারি সেচ ব্যবস্থাগুলোকে সচল রাখার কথা বলেছে কৃষি দফতর।

Advertisement

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষা মরসুমে জুন ও জুলাই দু’মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের হিসাব ৪৫০.৩৭ মিলিমিটার। তবে চলতি বছরের ১৬ জুলাই পর্যন্ত সেটা প্রায় ৫০ শতাংশ কম হয়েছে। জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) প্রিয়লাল মৃধা বলেন, “কয়েক বছর ধরে বর্ষা দেরিতে আসছে। তবে এখনও চাষের সময় আছে। তাছাড়া বিকল্প সরকারি সেচ ব্যবস্থা, গভীর নলকূপ এবং নদী জল উত্তোলন প্রকল্পগুলি সচল আছে।’’

চাষিরা জানিয়েছেন, বৃষ্টি কম হওয়ায় আমন ধান চাষের সময় বয়ে যাচ্ছে। জমিতে আগাম কাদা করে রাখতে পারলে, কাদা পচে ধান রোপণের পরেই দ্রুত শিকড় ছড়ায় এবং ধানের গোছ বেড়ে ফলন ভাল হয়। বৃষ্টি না হওয়ায় আগে কাদা করার সুযোগও নেই। ফলে বৃষ্টির অভাবে কপালে ভাঁজ ফেলছে চাষিদের।

Advertisement

গোঘাটের কুমারগঞ্জের চাষি চঞ্চল রায় বলেন, “জলের অভাবে আমন চাষের জমি তৈরি করা যায়নি। দশ বিঘা জমিই পড়ে রয়েছে। আপাতত জল কিনে কোনওমতে বীজ বাঁচিয়ে রাখছি। বৃষ্টি এমন কম হলে চাষির বিপদ।’’ তাঁর আশঙ্কা, ব্যক্তি মালিকানাধীন সেচ ব্যবস্থা থেকে জল কিনলে বিঘা পিছু খরচ বাড়বে অনেকটাই। তার ফলে লাভ কমে যাবে।

একই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আরামবাগের বাতানলের সওকত আলি, পুরশুড়ার চিলাডাঙির আক্তার আলি, খানাকুলের পিলখাঁর বিকাশ মুখোপাধ্যায়রা। সরকারি সেচ ব্যবস্থার আওতায় জমি থাকলে অনেকটা সাশ্রয় হয় বলেই দাবি তাঁদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement