Rishra

তথ্যসন্ধানী দলকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ হাওড়ায়, পুলিশের দাবি, এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা

শনিবার বাংলায় এসে পৌঁছন পটনা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি-সহ ওই কমিটির ৬ সদস্য। ওই দিন তাঁরা যান রিষড়ায়। রবিবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে তাঁরা রওনা দেন হাওড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৫৩
Share:

হাওড়ার ঢোকার মুখে তথ্যানুসন্ধানী দল। — নিজস্ব চিত্র।

হুগলির পর এ বার হাওড়াতেও মানবাধিকার সংক্রান্ত ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ বা তথ্যানুসন্ধান কমিটিকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কোনও প্রতিনিধি দলকেই উপদ্রুত এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শনিবার ওই তথ্যানুসন্ধানী দল গিয়েছিল হুগলির রিষড়ায়। কিন্তু এলাকায় পৌঁছনোর আগেই ওই দলটিকে আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক টানাপড়েনের পর শেষমেশ ফিরে যান কমিটির সদস্যরা। সেখানেও পুলিশ জানিয়ে দেয় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি দলটিকে।

Advertisement

শনিবার বাংলায় এসে পৌঁছেছেন পটনা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি-সহ ওই কমিটির ৬ সদস্য। ওই দিন তাঁরা গিয়েছিলেন রিষড়ায়। রবিবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে তাঁরা রওনা দিয়েছিলেন হাওড়ার উদ্দেশে। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায় ওই কমিটির ৬ সদস্যকে ঢুকতে বাধা দেয় হাওড়া সিটি পুলিশ। তাঁদের জানানো হয়, যেখানে অশান্তি ছড়িয়েছিল সেই শিবপুরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলে ঘণ্টা খানেক। শেষ পর্যন্ত অনুমতি না মেলায় কলকাতার উদ্দেশে ফিরে যান কমিটির সদস্যরা। বাধা পেয়ে নরসিমার অভিযোগ, পুলিশ রাজনৈতিক নেতাদের মত আচরণ করছে। বিষয়টি তাঁরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

রিষড়ার মতো কিছু দিন আগে অশান্তি ছড়িয়েছিল হাওড়ার শিবপুরেও। সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই রাজ্যে এসেছে ওই তথ্যানুসন্ধানী দল। তাঁদের আটকে দেওয়া নিয়ে হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অশান্তির পর কয়েকটি দিন কেটে গেলেও এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কোনও প্রতিনিধি দলকেই সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘এলাকায় এখনও ১৪৪ ধারা জারি। এমন অবস্থায় এ ভাবে এত জনকে ওখানে যেতে দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই আটকানো হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement