Durgapur Expressway

Durgapur Expressway: এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারণে বাধা নয় দখলদার, দাবি

সড়কের ধারের অস্থায়ী ব্যবসায়ী বা বাসিন্দাদের তরফে এক প্রতিনিধি মঙ্গলবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৫৮
Share:

ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সরিয়ে নিচ্ছেন দোকানপাট। বুধবার মাইতিপাড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর দে।

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারণে হুগলিতে বাধা হবেন না দখলদারেরা। ওই সড়কের ধারের অস্থায়ী ব্যবসায়ী বা বাসিন্দাদের তরফে এক প্রতিনিধি মঙ্গলবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দেন।

Advertisement

এই জাতীয় সড়ক চার লেনের। সেটি ছয় লেনের করার লক্ষ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনকে তাঁদের তরফে জানানো হয়, যে অংশে ওই কাজ হবে তা পুরোপুরি ফাঁকা না করা হলে, কাজে গতি আসবে না। এর পরেই প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে দখলদারদের সঙ্গে কথা বলে।

চণ্ডীতলার তৃণমূল বিধায়ক স্বাতী খন্দকার বলেন, ‘‘ডানকুনি এলাকায় ব্যবসায়ী বা অস্থায়ী আস্তানা করে যারা রয়েছেন, তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সড়ক সম্প্রসারণের কাজে তাঁরা বাধা হতে চান না। তাঁরা সরে যাবেন। তবে ওখানে যাঁরা রয়েছেন, তাদের অনেকেরই রুটিরুজির প্রশ্ন জড়িত। তাই সরকারি কোনও প্রকল্পে তাঁদের ব্যবসার জায়গা যদি দেওয়া যায় সেই অনুরোধ করেছেন।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, হাওড়ার বালির মাইতিপাড়া থেকে ডানকুনি টোলপ্লাজা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের আশেপাশে প্রায় সাড়ে তিনশো দখলদার রয়েছেন। তার মধ্যে অন্তত ৫০টি পরিবার অস্থায়ী ঘর করে বসবাস করেন। শাসকদলের দাবি, তাঁদের অনেকেই মালপত্র গুটিয়ে সরে যেতে শুরু করেছেন।

Advertisement

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, ডানকুনি এলাকা যানজটপ্রবণ। তাই ওই এলাকাকে পাকাপাকি ভাবে যানজটমুক্ত করতে সিঙ্গুরের আগে পর্যন্ত মোট সাতটি উড়ালপুল ও আন্ডারপাস তৈরি করা হবে। পাশাপাশি, এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য সার্ভিস রোড তৈরি করা হবে। ২০০০ সালে যখন ওই সড়ক তৈরি হয়, তখন সারাদিনে মেরেকেটে ১০-১২ হাজার গাড়ি চলত। ট্রাক দাঁড়ানোর জন্য কাপাসহাড়িযায় একটিমাত্র লে-বাই ছিল। এখন সারাদিনে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে ২৫ থেকে ২৮ হাজার হয়েছে। সেই কারণে যানজট কোনও ভাবেই এড়ানো যাচ্ছে না। তাই, নতুন পরিকল্পনায় মোট ১৯টি লে-বাই তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘নির্মাণকারী সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই সাইট অফিস তৈরি হয়ে গিয়েছে। নতুন বছরের শুরু থেকেই ওই কাজে গতি আসবে। আড়াই বছরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement