হরিশচকে লকেট। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে নানা দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। তাতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের কিছু নেতার। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খানাকুলে সভা করতে এসে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “ইডি-সিবিআই একজনকেও ছাড়বে না। দুর্নীতি যারা করবে, তারাই জেলে যাবে।”
রাজ্যে ৩৪ বছর বামফ্রন্টের ‘অপশাসন’ এবং ১১ বছর তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে এ দিন বিকেলে খানাকুলের হরিশচকে পদযাত্রা এবং সভার আয়োজন করা হয়। উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের দাবিও ওঠে। পদযাত্রায় শামিল হন বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চার বিধায়ক। সন্ধ্যায় হরিশচক হাই স্কুল প্রাঙ্গণে সভা হয়।
নানা ক্ষেত্রে তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’, টাকা উদ্ধার, নেতাদের জেল খাটা, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে নাম বদল, কাটমানি আদায় নিয়ে সভায় সচেতন করেন লকেট। দলীয় কর্মীদের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য চাঙ্গা করারও চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, “চারদিকে দুর্নীতি। চোর-ডাকাত ধরা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী টাকা নেই বলছেন। এখন সেই সব টাকা বের হচ্ছে। বাংলাকে রক্ষা করতে হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে পরে সাংবাদিকদের কাছে বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘‘কালীঘাটে গেলেও কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাবে।’’
এর পাল্টা হিসেবে তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায়ও বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের প্রসঙ্গ তোলেন। মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও তোপ দাগেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি আমরা এখনই বলতে পারব না। আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে তবে দুর্নীতি বলতে পারি। ইতিমধ্যে আমাদের দল একটা পদক্ষেপ করেছে। আদালতে দোষী প্রমাণ হলে পরবর্তী পদক্ষেক করবে দল।”
গত মঙ্গলবারই ধর্মতলায় বাম ছাত্র-যুবদের ‘ইনসাফ সভা’য় নজরকাড়া ভিড় হয়েছিল। এ দিন সে প্রসঙ্গও ছুঁয়ে যান লকেট। তাঁর কথায়, ‘‘এখন আবার সিপিএমের লাল দেখা যাচ্ছে।’’ খানাকুলের সিপিএম নেতা তথা জেলা কমিটির সদস্য ভজহরি ভুঁইয়া পাল্টা বলেন, “ওই দুই দলই সিপিএমকে বা্ঁধতে চায়। কিন্তু আর পারবে না। মানুষ বুঝতে পেরেছেন। বামফ্রন্টের উপর মানুষের আকর্ষণ তাই বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে প্রকাশ হচ্ছে।”