ওই রোগী যদি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন, তা হলে যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য দফতর। ফাইল ছবি
কোভিড অতিমারির সময়ের মতো এ বার জ্বরের জন্য ওষুধ কিনতে গেলে দোকানদারকে সেই রোগীর নাম ও ফোন নম্বর লিখে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়ম করে প্রতিদিন নাম ও ফোন নম্বরের তালিকা জমা দিতে হবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। যাতে ওই রোগী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত কি না, তার খোঁজখবর নিতে পারেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। ওই রোগী যদি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন, তা হলে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাওড়ায় ডেঙ্গি মোকাবিলায় এ বার চিকিৎসকদের পাশাপাশি ওষুধের দোকানদারদেরও জ্বরের রোগীর নাম ও ফোন নম্বর দেওয়ার জন্য শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তদের উপরে নজরদারি করতেই এই পদক্ষেপ বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই মণ্ডল জানিয়েছেন।
এ দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, হাওড়া জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগী, যাঁরা বাড়িতে রয়েছেন বা হাসপাতালে ভর্তি, প্রতিনিয়ত তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার কন্ট্রোল রুম থেকে দু’বেলা ডেঙ্গি আক্রান্তদের সন্ধান করে তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে। যাঁরা বাড়িতে রয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি, হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেও ডেঙ্গি আক্রান্তদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। পাশাপাশি হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সাতটি ফিভার ক্যাম্পও খোলা হয়েছেবিভিন্ন জায়গায়।
ডেঙ্গির চিকিৎসার ছাড়াও এই রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে নিয়ে সভা করছে ওই জেলার স্বাস্থ্য দফতর।জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত এমন ন’টি সভা করা হয়েছে। সেগুলি মূলত হয়েছে সরকারি-বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক, আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি-কর্মী, রেশন ডিলার, ব্যাঙ্ককর্মী, শিল্পপতি, দোকানদার, সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসক, কারখানা ও পরিবহণ কর্মীদের নিয়ে। বিভিন্ন স্তরে রক্তদান ও রক্ত পরীক্ষার জন্য শিবির করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে। শুক্রবারই জেলার শ্রম কমিশনারের দফতর থেকে হাওড়া এবং বালি পুরসভা এলাকার ছ’টি জুটমিলে রক্তদান শিবির, ডেঙ্গির রক্ত পরীক্ষা এবং ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতার শিবির করা হয়েছে বলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।