রাজা রামমোহন রায়ের বসতবাটি পর্যটক কেন্দ্র। খানাকুলের রঘুনাথপুর এলাকায়।
‘হেরিটেজ’-এর সম্মান মিলেছে। কিন্তু খানাকুলের রাধানগরে রাজা রামমোহনের জন্মভিটে এবং রঘুনাথপুরে তাঁর বাসস্থানের সেই মান রাখা কতটা হয়েছে, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। সম্পদ সংরক্ষণে কোনও সুফল না মেলা ও অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। একইঅভিযোগ জানিয়েছেনপর্যটকদের একাংশও।
বিভিন্ন কমিটি এবং রামমোহনপ্রেমীদের অভিযোগ, রামমোহনের ভিটেকে কেন্দ্র করে সার্বিক উন্নয়নের কোনও পরিকল্পনাই নেই। সম্প্রতি রামহোনের বসতবাটী তথা আমবাগান চত্বরের পাঁচিল ঘেরা অংশে খান আটেক সোক পিট হচ্ছে। পুকুরের পানা পরিষ্কার হয়েছে। তবে সম্প্রতি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা গেল, আমবাগান ঘিরে রাখা পরিখা মজে গিয়ে যেমন জঙ্গল ছিল, তেমনই রয়ে গিয়েছে। সেখানে অতীতে নৌ-বিহারের আয়োজন ছিল পর্যটকদের জন্য। সেখানের সৌন্দর্যায়ন তো দূর, শিশুদের দোলনা-সহ নানা খেলার সরঞ্জামও ভাঙা।
কিছু কাজ অবশ্য হয়েছে, হেরিটেজ ঘোষণার বছর আটেক আগে মুখ্যমন্ত্রী একবার ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাতে ৩৩ বিঘা এলাকার আমবাগানের পাঁচিল হয়েছে। তারও আগে সেখানেই একটি গেস্ট হাউস হয়েছে। কিন্তু তা এখনও চালু হয়নি।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া বলেন, “জেলা পরিষদ থেকে সাধ্যমতো দফায় দফায় কাজ হচ্ছে। এখন তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে সেখানে সোক পিট হচ্ছে।’’
রামমোহনের জন্মভূমি খানাকুল থানা এলাকায় হলেও তা পুরশুড়া বিধানসভার আওতায় পড়ে। পুরশুড়ার বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, “রামমোহনের জন্মভূমি ঘিরে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র করতে ইতিমধ্যে আমরা রেল সংযোগ-সহ বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছি কেন্দ্র সরকারের কাছে। মনীষীর ভিটে-মাটি সংরক্ষণ সহ আমূল সংস্কারের বিষয়টাও নজরে আনব।’’