মৃত বাঘরোল। নিজস্ব চিত্র।
তিন মাসের ব্যবধানে ফের মৃত বাঘরোল মিলল বাগনানের গ্রামে।
শনিবার সকালে কানাইপুরের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে গ্রামবাসীরা মৃত বাঘরোলটিকে দেখে দুই পরিবেশপ্রেমীকে খবর দেন। খবর যায় বন দফতরেও। গ্রামবাসীদের দাবি, মৃত বাঘরোলটির পিঠে গভীর ক্ষত ছিল। এ ক্ষেত্রেও তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে তাঁদের তন্দেহ। বন দফতরের কর্মীরা বাঘরোলটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গড়চুমুক প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।
বন দফতরের উলুবেড়িয়ার রেঞ্জ অফিসার রাজেশ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের পরেই বোঝা যাবে কী ভাবে বাঘরোলটি মারা গিয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য গ্রামবাসীদের নানা ভাবে সচেতন করা হয়। অনেক সময় মানুষের সচেতনতার ফলে বন্যপ্রাণী রক্ষা পায়। আবার কোথাও কোথাও বন্যপ্রাণীকে পিটিয়ে মারার প্রবণতাও রয়েছে। আমরা আরও বেশি সচেতনতামূলক প্রচার করব। যাতে মানুষ বন্যপ্রাণীকে সংরক্ষণ করেন।’’
গত জানুয়ারিতে কালিকাপুরে তিনটি বাঘরোলকে পিটিয়ে মারা হয় বলে দু’জনের নামে অভিযোগ উঠেছিল। ওই দু’জন আদালত থেকে আদালত থেকে আগাম জামিন নেন। এ বার কানাইপুরে আরও একটি বাঘরোলের মৃত্যুতে ক্ষোভ ছড়িয়েছে পরিবেশপ্রেমী মহলে। পরিবেশপ্রেমী চিত্রক প্রামাণিক বলেন, ‘‘বাঘরোল রাজ্যপ্রাণী হওয়া সত্ত্বেও বারবার তাদের হত্যা করা হচ্ছে। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এদের রক্ষা করার জন্য সরকারের উচিত বেশি করে সচেতনতামূলক প্রচার করা। এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।’’