গঙ্গা থেকে মাছ তোলার ধুম। ছবি: সংগৃহীত।
কোথাও ভেসে যাওয়া কচুরিপানা ঘিরে খাবি খাচ্ছে। কোথাও আবার ভাসছে মরা মাছ। নদীর পাশে গেলেই নাকে এসে ঝাপটা মারছে দুর্গন্ধ। শুক্রবার থেকে এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে হাওড়ার বাউড়িয়া থেকে সালকিয়া পর্যন্ত গঙ্গার কয়েকটি ঘাটের আশপাশে। প্রাথমিক ভাবে গঙ্গার দূষণের কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে মনে করছে রাজ্য মৎস্য দফতর।
শুক্রবার দুপুর থেকেই হাওড়ায় গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে মাছ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয়েরা। বিকালের দিকে যা আরও বেড়ে যায়। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে উঠতে শুরু করে গঙ্গার জলে। ক্রমশ ভিড় জমে যায় হাওড়ার তেলকল ঘাট, শিবপুর ঘাট, রামকৃষ্ণপুর ঘাট-সহ বিভিন্ন জায়গায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, প্রথমে বেশ কয়েকটি মরা মাছ ভেসে উঠেছিল। পরে ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বিকেল হতেই রীতিমতো মাছ ধরার হিড়িক পড়ে যায়। গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটেও একই দৃশ্য দেখা যায়। ভেসে ওঠা মাছ ধরতে প্রচুর উৎসাহী মানুষ ভিড় জমান গঙ্গার ঘাটে ঘাটে।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, জলের দূষণের কারণেই এমনটা ঘটেছে।’’ গঙ্গার তীরের কোনও কারখানার দূষিত বর্জ্য বা রাসায়নিক থেকে এমনটা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই মাছ খাওয়া নিরাপদ নয়। এ বিষয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করার কথা বলা হয়েছে প্রশাসনকে।’’ অন্য দিকে, জেলা মৎস্য আধিকারিক চিন্ময় চক্রবর্তী জানান, শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন এলাকায় গঙ্গার জল পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পেলে দূষণের ‘কারণ’ জানা যাবে। বৃষ্টির জলে ধুয়ে এসে কোনও বিষাক্ত রাসায়নিক গঙ্গার জলে মিশেও এমনটা হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে গঙ্গাপারের দীর্ঘ এলাকা জুড়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে এমন ঘটলেও খুব বেশি সংখ্যক মাছ মরেনি বলে জানান তিনি।