নিখোঁজ থাকার ন’দিন পর উদ্ধার যুবকের দেহ। প্রতীকী চিত্র।
আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ হয়েছিলেন হায়দরাবাদের যুবক। ৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর হাওড়ার উলুবেড়িয়ার মর্গে সন্ধান মিলল সেই যুবকের দেহের। পুলিশের তরফে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
কালীপুজোর আগে হায়দরাবাদ থেকে হাওড়ার সাঁকরাইলে খুড়তুতো দাদার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন সঞ্জু রায়। গত ২৯ অক্টোবর রাতে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করেন তিনি। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন জন্মদিনের কেক কাটার পর ফোনে কথা বলতে বলতে বেরিয়ে যান সঞ্জু। তার পরিবারের দাবি, তার পর থেকে সঞ্জুর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তদন্তে নেমে পুলিশ রবিবার রাতে জানতে পারে উলুবেড়িয়া পুলিশ মর্গে রয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ। এর পর ওই দেহ শনাক্ত করে সঞ্জুর পরিবারের লোকজন।
সোমবার দুপুরে দক্ষিণ সাঁকরাইলে আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছয় সঞ্জুর দেহ। তা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সঞ্জুকে খুন করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের যুক্তি, সঞ্জুর মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জু নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর গঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর দেহ। কিন্তু, গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলে মুখে আঘাতের চিহ্ন থাকবে কেন, এই প্রশ্ন তুলছেন পরিবারের লোকজন। সঞ্জুর দিদি কুসুম হাজরা বলেন, ‘‘এক মহিলার সঙ্গে এগারো বছরের সম্পর্ক ছিল ভাইয়ের। দু’বছর আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ভাইয়ের সঙ্গে মেয়েটি কোনও যোগাযোগ রাখত না। তবে ভাই এখানে এলে মেয়েটি ফোন করত। সে দিন রাতেও ওই মেয়েটি ফোন করেছিল বলে মনে হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত। পরিবারের লোকজন নতুন করে অভিযোগ দায়ের করলে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।