দীর্ঘ দিনের জলের সমস্যা মেটাতে ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সারফেস বেস গ্রাউন্ড ওয়াটার প্রোজেক্ট’ ঘোষণা করেন ২০১৯ সালে। নিজস্ব চিত্র।
বাড়ি বাড়ি বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল আট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য চার পঞ্চায়েত এলাকায় পরিবারপিছু ছ’হাজার টাকা করেও নেওয়া হয়। পরে সরকারি ভাবে স্থির হয়, জলের সংযোগের জন্য কোনও টাকা নেওয়া হবে না। যাঁদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে, তা-ও ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বছর দু’য়েক কেটে গেলেও কেউ টাকা ফেরত পাননি! এমনই অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার বালি-জগাছা ব্লকে। দাবি, দুর্নীতি হয়েছে! শাসকদল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই ব্লকে আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে— দুর্গাপুর, অভয়নগর-১, অভয়নগর-২, নিশ্চিন্দা, জগদিশপুর, সাপুইপাড়া, চামরাইল, চকপাড়া। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পঞ্চায়েতে এলাকায় দীর্ঘ দিনের জলের সমস্যা মেটাতে ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সারফেস বেস গ্রাউন্ড ওয়াটার প্রোজেক্ট’ ঘোষণা করেন ২০১৯ সালে। তার জন্য পরিবারপিছু ছ’হাজার টাকা করেও নেওয়া হয় চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এর পর ২০২১ সালে তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসার পর বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ জানান, জলের সংযোগের জন্য কোনও টাকা নেওয়া হবে না। যাঁরা ছ’হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন, তাঁরা সেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু সেই টাকা আজও কেউ ফেরত পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাবান দাস বলেন, ‘‘কয়েক কোটি টাকা জমা পড়েছে। কিন্তু এক টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। এর প্রভাব পড়বে ভোটে।’’
শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। সিপিএম প্রার্থী জয়ন্ত রং বলেন, ‘‘কয়েক কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে। জলের লাইন দেওয়ার নামে ক্ষুব্ধ এলাকার বহু মানুষ।’’
পাল্টা ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ বলেন, ‘‘কোনও দুর্নীতি হয়নি। টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় তা আটকে গিয়েছে। ভোটের পরে সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’’