ফাইল চিত্র।
কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হাওড়ায়। সাতটি ওয়ার্ডে এই প্রকোপ দেখে শুক্রবার হাওড়া পুর ভবনে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিতে সেখানে চার সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। কোভিড, ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে পুরসভার তরফে বিভিন্ন ব্যবস্থা ঘোষণা-সহ ১৯টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনামূল্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও বাড়ানো হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে। পরীক্ষায় রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে বিনামূল্যে ওষুধ, স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক দেওয়া হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুজোর পরেই ১৩, ৩২, ৩৩, ৩৯, ৪১, ৪৭ এবং ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এ দিন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তীর ডাকা বৈঠকে ছিলেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। পরে সুজয় জানান, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পুরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক জন করে আধিকারিককে নিয়ে চার সদস্যের দল গঠিত হয়েছে। দলটি সাতটি ওয়ার্ড-সহ হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবে। দরকারে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণাও করবে তারা। সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে সব ওয়ার্ডে সংক্রমিত বেশি, সেখানে পরীক্ষার শিবির বাড়ানো হবে। আক্রান্তদের সাহায্য করতে ফের চালু করা হচ্ছে টেলিমেডিসিন পরিষেবা।
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন জানান, বাজার এলাকাগুলি জীবাণুমুক্ত করতে বিশেষ গাড়ি আনা হচ্ছে। প্রতিদিন গাড়ি থেকে রাসায়নিক ছড়ানো হবে। এ ছাড়া ঢোকার গেটে পুরসভার তরফে জীবাণুনাশক টানেল বসিয়ে দেওয়া হবে। বাজার থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তার জন্য বাজার কমিটিগুলির সঙ্গেও বৈঠক বসবে পুরসভা। ক্রেতা ও বিক্রেতা যাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন, তার জন্য কমিটিগুলিকে সতর্ক করা হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, হাওড়া শহরেই কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। তাই শহরাঞ্চলে করোনা প্রতিরোধে জোর দেওয়া হচ্ছে। চেয়ারপার্সন জানান, পুর এলাকায় ১০ লক্ষ বাসিন্দার মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ন’লক্ষ বাসিন্দাকে প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় দেওয়া হয়েছে। পাঁচ লক্ষ বাসিন্দা দ্বিতীয় ডোজ়ও পেয়েছেন। যাঁদের নেওয়া বাকি আছে, তাঁদের শীঘ্রই দেওয়া হবে।