মঙ্গলবার আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালের সামনে মিছিল ‘কোভিড যোদ্ধা’দের। —নিজস্ব চিত্র।
বিকল্প কাজের দাবি করে আরামবাগের ‘করোনা যোদ্ধা’রা বছর দু’য়েক ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখালেও কোনও সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার সকালে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কাজ চেয়ে ফের অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন কর্মহারা ১৫ জন ‘করোনা যোদ্ধা’। এ দিন হাসপাতাল ভবনের মূল ফটকের পাশে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ধর্না চলে। দাবি না মেটা পর্যন্ত প্রতি দিন একই সময়ে অবস্থান চলবে বলে জানান মৃত্যঞ্জয় পণ্ডিত, রিঙ্কু অধিকারী, চন্দন হরিজন, রেশমা বিবিরা।
২০২০ সালে আরামবাগের করোনা হাসপাতালে (একটি নার্সিংহোম) ২২ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে। ২০২১ সালের মার্চের শেষে ওই হাসপাতাল থেকে সরকারি সেই চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বন্ধ করা হয়। কাজ হারান ওই ২২ জন। তার মধ্যে ১৫ জন এ দিন বিক্ষোভ দেখান। মৃত্যুঞ্জয়ের অভিযোগ, “কঠিন সময়ে আমরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছিলাম।প্রশাসনের তরফে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কোনও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হলে আমাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কিন্তু গত দু’বছরে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে অনেক নিয়োগ হলেও আমাদের নেওয়া হয়নি।”
আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ রায় বলেন, “চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সরাসারি আমাদের দায় নেই। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমরা ই-টেন্ডার ডেকে উপযুক্ত এজেন্সিকে বরাত দিয়েছি। তারা কাকে নিয়োগ করবে তা নিয়ে আমাদের বলারও কোনও জায়গা নেই।’’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এজেন্সির মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক মোট ২২ জন নিরাপত্তা রক্ষী এবং ১৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। চুক্তি এক বছরের জন্য।
মহকুমাশাসক সুভাষিণী ই বলেন, “যেহেতু এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ হয়, তাই এখানে আমরা তাঁদের নিয়োগের নির্দেশ দিতে পারব না। তবে এজেন্সির কাছে তাঁদের নিয়োগ নিয়ে সুপারিশ করা হচ্ছে। তাঁরা কাকে নেবেন, সেটা তাঁদের বিষয়।”