Corona

হাওড়ায় ঊর্ধ্বমুখী করোনা, প্রতিষেধক নেই সর্বত্র

হাওড়ায় বাড়ছে করোনা। উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতর হাওড়া পুরসভাকে বার বার বললেও সব ক’টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখনও প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২১ ০৬:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি। ফাইল চিত্র

হাওড়ায় বাড়ছে করোনা। উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতর হাওড়া পুরসভাকে বার বার বললেও সব ক’টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখনও প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই কারণে গণ-প্রতিষেধক প্রক্রিয়া ধাক্কা খাচ্ছে শহরে। যদিও পুরসভার বক্তব্য, কত পরিমাণ প্রতিষেধক জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে রয়েছে, কোন কোন জায়গায় তারা সেই প্রতিষেধক দিতে চায়, সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা না পেলে এ ব্যাপারে এগোনো সম্ভব নয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিলেই পুরসভা কাজ করবে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন থেকে জানা যাচ্ছে, হাওড়া পুর এলাকাতেই করোনা বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার হাওড়ায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল ৩১। তার মধ্যে ২৭ জন ওই পুর এলাকার বাসিন্দা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগ, পুরসভার ১৫টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও বর্তমানে ন’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সপ্তাহে মাত্র দু’দিন প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। তা-ও আবার নিয়মিত নয়। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বললেন, ‘‘পুরসভার সব ক’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যদি প্রতিদিন প্রতিষেধক দেওয়া হত, তা হলে এর মধ্যে অনেক বাসিন্দাই তা পেয়ে যেতেন। ফলে সংক্রমণ অনেকটাই আটকানো যেত।’’

জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে নিয়মিত ভাবে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ চলছে। প্রয়োজনে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ কী ভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা দেখা হচ্ছে। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে কত পরিমাণ প্রতিষেধক রয়েছে, কত জায়গায় তারা তা দিতে চায়, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দরকার। না-হলে সমস্যা হচ্ছে।’’

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ আধিকারিকের দাবি, গত ৮ মার্চ থেকেই হাওড়া জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তাই সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করতে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি, প্রতিষেধক দেওয়ার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিপূর্বেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ন’টি বেসরকারি ল্যাবকে প্রতিষেধক প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি জায়গাতেও প্রতিষেধক দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে হাওড়ার
বালিটিকুরি ও সত্যবালা আইডি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা চলছে। যে ভাবে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আগামী দিনে করোনা হাসপাতালের সংখ্যা বাড়াতে হতে পারে বলেও মনে করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement