উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র
নিয়মিত রেশন না-মেলায় ক্ষোভ ছিলই। ডিলার জানিয়েছিলেন, রবিবার সকাল ৭টা থেকে বকেয়া রেশন দেওয়া হবে। সেই মতো কাকভোর থেকেই দীর্ঘ লাইন পড়ে। সকাল ৯টা নাগাদ দোকানে এসে রেশন ডিলার জানান, পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী মজুত নেই। ফলে, দেওয়া যাবে না। এতে মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। তাঁকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। হুলস্থুল হয়। ঘণ্টাখানেক পরে রেশন দেওয়া শুরু হলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হুগলির কোদালিয়া-২ পঞ্চায়েতের লোহাপাড়ার ঘটনা।
ওই রেশন দোকান রয়েছে শিবানি চক্রবর্তীর নামে। তিনি সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। ছেলে দেবু দোকান চালান। উপভোক্তা প্রায় সাড়ে চার হাজার। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, দেবু গত তিন মাস ধরে রেশন দিতে গড়িমসি করছেন। ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পও নিয়ম মেনে করেন না।
উপভোক্তাদের দাবি, বাকি থাকা রেশন রবিবার দেওয়া হবে বলে শনিবার সন্ধ্যায় দেবু প্রতিশ্রুতি দেন। টোকেনও দেন। রবিবার দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও খাদ্যসামগ্রী না-পাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে দেবু জানান, খাদ্যসামগ্রী এসেছে।
অনিয়মিত রেশন দেওয়ার অভিযোগ মেনে নেন দেবু। তিনি বলেন, ‘‘মা দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। তাই নিয়মিত দোকান খুলতে পারিনি।’’ গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এলাকার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘একটা সমস্যা হয়েছিল। আশা করছি, এর পর থেকে সবাই নিয়মমাফিক রেশন পাবেন।’’জেলা খাদ্য ভবনের এক কর্তাবলেন, ‘‘ডিলারের পারিবারিক সমস্যার কথা জানা ছিল না। জানলে, অন্য ব্যবস্থা করা যেত। ডিজ়িটাল কার্ড থাকলে, যে কোনও দোকান থেকে রেশন তোলা যায়। সেটা হয়তো সকলে জানেন না।’’
সুরজ কুরমি নামে এক গ্রাহকের অভিযোগ, ‘‘দিনের পর দিন দোকানে এসে ফিরে যেতে হয়। বিজ্ঞপ্তি টাঙানোরও প্রয়োজন মনে করেন না দোকান মালিক।’’ অন্য এক উপভোক্তা অনিতা কুণ্ডুর বক্তব্য, ‘‘এখানে আর একটি রেশন দোকান হোক।’’ নতুন রেশন দোকানের দাবি নিয়ে খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের কথা বলবেন বলে জানান বিধায়ক।