ট্রাক্টর-সহ কাটা গাছ আটক করল পুলিশ। শনিবার গোঘাটের হাজিপুরের দাদপুরে। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP
বন দফতরের অনুমতি নেই। পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির ছাড়পত্র নেই। দরপত্রও ডাকা হয়নি। নিয়মনীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একাধিক ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠল গোঘাট-২ ব্লকের হাজিপুর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে, শনিবার দুপুরে স্থানীয় দাদপুর ভীমতলা সংলগ্ন ক্যানেল পাড় থেকে কিছু গাছ কাটা আটকেছেন স্থানীয় মানুষ। সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মিতালি বাগ।
মিতালির অভিযোগ, “গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে গাছ কাটা হচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় কয়েকজন আমাকে জানান। গিয়ে দেখি, পঞ্চায়েতে একটি টাকা জমার রসিদ ছাড়া বন দফতরের কোনও অনুমতি নেই।”
মিতালি বিষয়টি বিডিওকে জানান। বিডিও দেবাশিস মণ্ডলের নির্দেশে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়। পুলিশ কাটা গাছ আটক করে। বিডিও বলেন, ‘‘বন দফতর বিষয়টা দেখছে।’’ প্রধান সুলেখা ঘোষ এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলে পঞ্চায়েতের লাগানো গাছগুলি কাটা শুরু হয়েছিল এ দিন সকাল থেকেই। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য সইদুল ইসলাম দাঁড়িয়ে থেকে গাছ কাটাচ্ছিলেন। প্রতিবাদ করলে তিনি দাবি করেন, অনুমতি নিয়ে গাছ বিক্রি হচ্ছে। মিতালি আসার আগে পর্যন্ত খান পনেরো গাছ কাটা হয় বলে এলাকাবাসীর দাবি।
অভিযুক্ত পঞ্চায়য়েত সদস্য সইদুলের দাবি, ‘গাছগুলির গোড়ার মাটি আলগা হয়ে গিয়ে বিপজ্জনক হয়েছিল। গ্রামবাসীর দাবি ছিল, ঘূর্ণিঝড়ের আগে গাছ কেটে নেওয়ার। পঞ্চায়েতে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।’’ দরপত্র ডাকা বা বন দফতরের অনুমতি নেওয়া সময়সাপেক্ষ ছিল বলে তিনি জানান। তবে, একইসঙ্গে সইদুলের দাবি, ১৫টি নয়, ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ১০টি গাছ কাটা হয়েছে। সেই টাকাও পঞ্চায়েতে জমা পড়েছে।
পুলিশ ডাকায় বিপাকে পড়েছেন, যিনি গাছ কিনেছিলেন। বন দফতরের আরামবাগের বিট অফিসার শুভঙ্কর সিকদার জানান, ওখানে গাছ কাটার অনুমতি নেওয়া হয়নি। মৌখিক অভিযোগ মিলেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।