Arambagh

টাকার দাবিতে দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে রাস্তা কাটার অভিযোগ

রবিবার বিকেলে ঢোকা খান ৩০ বালি বোঝাই লরি খাদ থেকে বের হতে পারেনি। আবার সোমবার সেই খাদে বালি বয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও গাড়ি ঢুকতে পারেনি বলে তাঁর অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৩ ০৯:৫৪
Share:

আটকে রয়েছে বালি বোঝাই ট্রাক। সোমবার দুপুরে আরামবাগের ভাবাপুরে। নিজস্ব চিত্র

টাকার ‘দাবি’ না মেটায় বৈধ বালি খাদ থেকে মূল রাস্তায় ওঠার সংযোগাকারী পথ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আরামবাগের ভাবাপুরের এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে গোঘাট-১ ব্লকের ভাদুর পঞ্চায়েতের সদস্য ঝন্টু পাত্র ও স্থানীয় নেতা সুজিত মণ্ডলের। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বালিখাদের মালিক

Advertisement

অরূপ ঘোষ।

মহকুমা ভূমি আধিকারিক কিংশুককান্তি মিত্র বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু করেছি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

অরূপের অভিযোগ, রবিবার দুপুরে এক দফা রাস্তা কাটা হয়েছিল। সেটি ঠিক করা হলেও ফের রাতে কেটে দেওয়া হয়েছে। এর জেরে

রবিবার বিকেলে ঢোকা খান ৩০ বালি বোঝাই লরি খাদ থেকে বের হতে পারেনি। আবার সোমবার সেই খাদে বালি বয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও গাড়ি ঢুকতে পারেনি বলে তাঁর অভিযোগ। মহকুমা ভূমি দফতর-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে এ বিষয়ে সুরাহার দাবি জানিয়েছেন অরূপ। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘ঝন্টু, সুজিতরা প্রায়ই খাদানে এসে টাকার জন্য় অন্যায় দাবি করেন। সেই টাকা দিইনি বলেই ওঁরা এই কাণ্ড করেছেন।’’

গত মার্চের ২৭ তারিখে গ্রামবাসী একজোট হয়ে রাস্তা ঘেরাও করে ব্যবসায়ীদের বালিখাদে নামতে দেননি। তাঁদের অভিযোগ ছিল, গ্রাম সুরক্ষার কথা বিবেচনা না করে সীমানার বাইরে নদের চরটি কাটা হচ্ছে। তাঁরা জানান, ওই চরটা পুরো ফকিরপাড়া গ্রামকে রক্ষা করছে। তাছাড়া খাদ থেকে বালি তোলার যে রাস্তা করা হয়েছে, সেই জায়গায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করেন।

এ দিনের ঘটনার পর ঝন্টু বলেন, ‘‘খাদানের চিহ্নিত এলাকার বাইরে একটি চর কাটার জন্যই গ্রামবাসীরা ওই অবৈধ রাস্তা কেটেছেন। অকারণে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’ একই

দাবি সুজিতেরও।

তবে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি পলাশ রায় বলেন, ‘‘প্রশাসন অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। অন্যায় যারা করে, আমাদের দল কখনওই তাদের পাশে নেই।’’

তবে বিষয়টি নেয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সিপিএম নেতা তথা জেলা কমিটির সদস্য গোঘাটের ভাস্কর রায় বলেন, “তৃণমূলের এই চক্র দীর্ঘদিনের। বৈধ বালি খাদের মালিকদের কাছ থেকে তোলা

আদায় বা খাদের অংশীদারি আদায় করা চলেই। নিজেরাও বালি চুরি

করে চলেছে।

বিজেপি নেতা তথা আরামবাগের বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেন,

“চুরি, দুর্নীতি, তোলাবাজি করাই তো তৃণমূলের কাজ। এখন মানুষ প্রতিবাদ শুরু করেছেন। আর তাতেই রাস্তা কেটে ব্যবসা বন্ধ করে উপক্রম করেছে ওরা। আগামী নির্বাচনে এর ফল টের পাবে তৃণমূল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement