CPIM

বামেদের সভাস্থল দখলের নালিশ, অভিযুক্ত তৃণমূল

সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা জানান, ধর্মঘটের সমর্থনে ধর্না ও সভা করার জন্য বৃহস্পতিবার রাতভর খেটে তাঁরা তাঁবু তৈরি করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৩
Share:

দখলদারি: এই মঞ্চ নিয়ে টানাপড়েন। ছবি: সুশান্ত সরকার

মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে ধর্মঘটের সমর্থনে বৃহস্পতিবার রাতে পান্ডুয়া ব্লক কার্যালয়ের সামনে তাঁবু খাটিয়েছিলেন যৌথ মঞ্চ ও সিপিএম সমর্থিত কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, শুক্রবার সকালে সেই তাঁবুর দখল নেয় তৃণমূল। প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন বাম নেতারা। দুপুর ১২টা থেকে প্রায় ৪০ মিনিট তেলিপাড়া সংলগ্ন জিটি রোডও অবরোধ করা হয়। পরে পুলিশি উদ্যোগে তৃণমূলের দখল থেকে সিপিএমের হাতে তাঁবু ফিরিয়ে দেওয়া হয়। হুগলি (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘এখনও কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা জানান, ধর্মঘটের সমর্থনে ধর্না ও সভা করার জন্য বৃহস্পতিবার রাতভর খেটে তাঁরা তাঁবু তৈরি করেছিলেন। শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ সেখানে তৃণমূলের পতাকা ও মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির ফ্লেক্স ঝুলতে দেখে হকচকিয়ে যান তাঁরা। সকাল আটটা নাগাদ তাঁবুতে ভিড় জমাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জয় ঘোষের নেতৃত্বে শুরু হয় ধর্মঘট বিরোধী সভা। টানা দু’ঘণ্টা সভার পর তাঁরা মিছিল করে যান পান্ডুয়া স্টেশনের দিকে।

এরপরই পান্ডুয়ার প্রাক্তন বাম বিধায়ক আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ধর্মঘটের সমর্থনে ও তাঁবু দখলের প্রতিবাদে ব্লক কার্যালয়ের সামনে মিছিল শুরু হয়। তারপর পান্ডুয়ার তেলিপাড়া সংলগ্ন জিটি রোড অবরোধ করা হয়। টানা ৪০ মিনিটের এই অবরোধের জেরে যানজটে নাকাল হন যাত্রীরা। পান্ডুয়া থানার পুলিশ বাহিনী অবরোধ তুলতে গেলে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে অবরোধ উঠে যায়। পরে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে তৃণমূলের দখল থেকে তাঁবুটি সিপিএমকে ফিরিয়ে দেয়।

Advertisement

বাম নেতা আমজাদ হোসেনের কথায়, ‘‘তৃণমূল আন্দোলন স্তব্ধ করার জন্য ওই তাঁবু দখল করেছিল। আমরাই রাত জেগে ওই তাঁবু বানিয়েছিলাম। এলাকার মানুষ সব জানেন। তাঁরা তৃণমূলের এই অন্যায় সমর্থন করবেন না।’’ আর তৃণমূল নেতা সঞ্জয়ের দাবি, ‘‘আমরাই ওই তাঁবু বানিয়েছি। আমাদের আন্দোলনের শেষে কর্মীরা দলীয় পতাকা ও ফ্লেক্স খুলে নিয়েছেন। সিপিএম মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement