নিজস্ব চিত্র
গত আট বছর ধরে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই স্কুলে। তাও এলাকার মেয়েরা প্রত্যেক দিন নিয়ম করে নির্ধারিত সময় স্কুলে যায়। নিজেদের মতো করে তারা লেখাপড়া করে। কিছুটা সময় বিরতি নিয়ে খেলাধুলোও করে তারা। তার পর মিড ডে মিল নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে পড়ুয়ারা। ছাত্রছাত্রী না থাকায় হাওড়ার ২৫টি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে শোরগোলের আবহে হুগলির চাঁপাদানির এক মাত্র উর্দু স্কুলে ধরা পড়ল এমনই ছবি।
২০০০ সালে তৈরি হওয়ার পর থেকেই চাঁপদানির উর্দু গার্লস জুনিয়র হাই স্কুলে শিক্ষকের অভাব। আশপাশের এলাকা থেকে পড়তে আসা মেয়েদের জন্য শুরুতে এক জন শিক্ষক ছিলেন বটে। তিনিও চলে যান ২০১৪ সালে। তার পর থেকেই কার্যত শিক্ষকহীন স্কুলটি। স্থানীয় নির্দল কাউন্সিলর জাকির হোসেন জানান, বর্তমানে স্কুলটিতে ৭১ জন ছাত্রী রয়েছে। স্কুলটিকে মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করার জন্য বহু বার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন তা কর্ণপাত করেনি বলেই তাঁর অভিযোগ।
স্থানীয়েরা জানান, চাঁপদানি মূলত জুটমিল এলাকা। এখানকার এই স্কুলে শিক্ষক না থাকায় দিন দিন স্কুলছুটের সংখ্যাও বাড়ছে। তাঁদের দাবি, নতুন শিক্ষক নিয়োগে দেরি হলে পার্শ্ববর্তী কোনও স্কুল থেকে শিক্ষকদের নিয়ে আসা হোক। জাকিরও বলেন, ‘‘সরকার শিক্ষার জন্য এত টাকা খরচ করছে, মেয়েদের শিক্ষার জন্য কন্যাশ্রী করেছে। আর উর্দু মাধ্যমের মেয়েরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’’
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জেলার স্কুল পরিদর্শক তপন বসু বলেন, ‘‘এক দিন আগেই বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর করে দেখছি। কেন এ রকম অবস্থা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’