হাওড়ার মঙ্গলহাটে আগুন নেভানোর কাজ করেন দমকলকর্মীরা। — ফাইল চিত্র।
হাওড়ার মঙ্গলাহাট সংস্কারের জন্য চার সদস্যের যে তত্ত্বাবধায়ক কমিটি তৈরি হয়েছিল, তাদের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার শুরু হল পোড়া হাট থেকে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তত্ত্বাবধায়ক কমিটি প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে পোড়া হাট সংস্কারের ব্যাপারে উদ্যোগী হবে। এ দিন সকাল থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হওয়ায় হাট ব্যবসায়ীরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছেন। মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে পুরসভার সাফাইকর্মীদের জন্য খিচুড়ি এবং আলুর দমের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ভয়াল আগুনে ছাই হয়ে যায় দাঁ মঙ্গলাহাটের(যা পোড়া মঙ্গলাহাট নামে পরিচিত) আড়াই হাজার দোকান। ঠিক পুজোর আগেই কয়েকশো কোটি টাকা ক্ষতি হয় ব্যবসায়ীদের। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ধর্মতলায় ২১শের সভা থেকে সোজা মঙ্গলাহাটে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে তৈরি হয় পাঁচ সদস্যের মনিটরিং কমিটি। ওই কমিটির নির্দেশে ফের একটি চার সদস্যের তত্ত্বাবধায়ক কমিটি তৈরি হয়। বুধবার পাঁচ সদস্যের মনিটরিং কমিটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়, হাওড়া পুরসভা বৃহস্পতিবার থেকেই ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবারের আগে সব আর্বজনা সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ দিন সকাল আটটা থেকে পে লোডার-সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে পুরসভার সাফাইকর্মীদের ৫০ জনের একটি দল কাজ শুরু করে। প্রথমে পুড়ে যাওয়া দলা পাকানো টিন, লোহার পাইপ-সহ অন্যান্য আর্বজনা সরানোর পরে দুপুরে শুরু হয় পোড়া দোকান ভাঙার কাজ। ঘটনাস্থলে পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী-সহ পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে ছিলেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি শৈলেশ রাই।
মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রাজকুমার সাহা বলেন, ‘‘ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দিলে আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ওই পোড়া হাটেই অস্থায়ী ভাবে বসবেন। সোমবারের মধ্যে যাতে তাঁরা ব্যবসা শুরু করতে পারেন, সেই চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকার-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার জন্য আমরা তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’ এ দিন ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময়ে সিআইডির অফিসারেরা উপস্থিত থেকে পরিস্থিতির উপরে নজরদারি করেন।