—প্রতীকী চিত্র।
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর বন্ধ থাকার পরে ফের বাস চালু হল জাঙ্গিপাড়া-শ্রীরামপুর ৩১ নম্বর রুটে। তবে বেসরকারি নয়, এ বার সরকারি বাস। রবিবার দুপুরে জাঙ্গিপাড়া বাস স্ট্যান্ডে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ওই পরিষেবার উদ্বোধন করেন। আপাতত একটি বাস চলাচল করবে।
লোকসভা ভোটের আগে হুগলি জেলার ৩৭ কিলোমিটার রুটে বাস পরিষেবা ফিরিয়ে এনে সরকার পক্ষ উন্নয়নের বার্তা দিচ্ছে। তবে, একটিমাত্র বাস চালিয়ে কতটা পরিষেবা দেওয়া যাবে, এই প্রশ্ন তুলে বিরোধীদের কটাক্ষ, মানুষকে ‘ধোঁকা’ দিতেই ভোটের মুখে চমক দেওয়া হচ্ছে। টোটোর আধিক্যের জেরে পরিবহণের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি-সহ নানা কারণে হুগলি জেলা জুড়ে বেসরকারি রুটের বহু বাস বসে গিয়েছে। একাধিক রুট পাকাপাকি ভাবে বন্ধই হয়ে গিয়েছে। এ নিয়েও বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে
ছাড়ছেন না।
বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মোহন আদক বলেন, ‘‘এই বাস পরিষেবা চালু করায় মানুষের কোনও উপকার হবে না। ভোটের আগে মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন মন্ত্রী। ওই রুটের যাঁরা বেসরকারি বাসমালিক এবং বাসকর্মী ছিলেন, তাঁদের কাজের বিকল্প কী হবে?’’
মন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন একটি বাস দিয়েছি। যাত্রী সংখ্যা বাড়লে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। বেসরকারি বাসমালিকেরা জাঙ্গিপাড়া থেকে চুঁচুড়া অথবা শ্রীরামপুর পারমিট চাইলে দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে। ভোটের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতি করে না।’’ ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জাঙ্গিপাড়া বাস স্ট্যান্ড নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এ দিন তারও উদ্বোধন করেছেন মন্ত্রী।
বাস কমে যাওয়ার সমস্যার কথা মানলেও তার দায় কেন্দ্রের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছেন মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ডিজ়েলের দাম বাড়ায় গোটা বাংলায় বাস চালানো মুশকিল হয়ে গিয়েছে। বহু বেকার ছেলে টোটো-অটো চালাচ্ছে। এর ফলে দূরপাল্লার বাস যাত্রী পাচ্ছিল না। এই কারণেও অনেক রুটের বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর দাবি, ‘‘আমি দায়িত্ব পাওয়ার পরে নতুন করে সেই বাসরুটগুলি চালু করছি। অটো, টোটো তার নির্দিষ্ট রুটে চলবে। বাস তার নির্দিষ্ট রুটে। অলিগলি থেকে যাত্রী নিয়ে এসে অটো, টোটো প্রধান রাস্তায় নামাবে। প্রধান রাস্তায় বাস চলবে। যে যার মতো ব্যবসা করুক।’’
সরকার অনেক দিন থেকেই এ কথা বলে আসছে। অথচ, বাস্তবে তার প্রতিফলন কার্যত নেই বললেই চলে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বহু বেসরকারি বাসমালিক।