ষাঁড়ের গুঁতোয় এক সপ্তাহে মৃত ৩। —নিজস্ব চিত্র।
এক সপ্তাহ ধরে তাণ্ডব চালানোর পর মগরায় অবশেষে বন দফতরের কব্জায় ঘাতক ষাঁড়। তবে শুক্রবারও তার গুঁতোয় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। এই নিয়ে সেখানে মোট তিন জন ষাঁড়টির গুঁতোয় প্রাণ হারালেন।
সপ্তাহের শুরুতে হুগলির মগরায় লোকালয়ে ঢুকে পড়ে ষাঁড়টি। এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করে। স্থানীয়দের বাড়িতেও মাঝেমধ্যে ঢুকে পড়ছিল। প্রথমে চন্দ্রহাহাটিতে ষাঁড়টির সামনে পড়ে মৃত্যু হয় তিলক সাউ (৬০) এবং কমলি মাহাতর (৬৫)।
তাতে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার দুপুরেও আচমকাই দু’নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার লোকালয়ে ঢুকে পড়ে ষাঁড়টি। শিং উঁচিয়ে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াতে শুরু করে। সেইসময় এলাকার একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে সে। আতঙ্কে পালাতে গিয়ে ষাঁঢড়টির সামনে এসে পড়েন শম্পা ভাণ্ডারী (৪০)। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দিকে তেড়ে যায় ষাঁড়টি। শিং দিয়ে গুঁতোতে শুরু করে। তাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শম্পা।
তড়িঘড়ি ওই মহিলাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর পরই তৎপর হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ ও বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। প্রথমে ষাঁড়টিকে ধরতে নাজেহাল অবস্থা হলেও, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শেষমেশ বাগে আনা হয় ষাঁড়টিকে।
খবর পেয়ে শুক্রবার চন্দ্রহাটি গিে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। মৃতদের পরিবারগুলি যাতে ক্ষতিপূরণ পান, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাবেন বলে জানান তিনি।