কৌস্তভ এবং কৌশিকীর বাড়ি আরামবাগের গৌরহাটি এলাকায়। একই পরিবার থেকে দু’জনের নাম মেধাতালিকায় থাকায় স্বাভাবিক ভাবে আনন্দিত পরিবার। —ফাইল চিত্র।
দু’জনের লক্ষ্য তাঁরা ইঞ্জিনিয়ার হবেন। দু’জনেই বললেন, এত ভাল ফল হবে আশা করেননি। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম দশে জায়গা করে নেওয়া খুড়তুতো ভাইবোনকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত আরামবাগ কাপসীট হাই স্কুল।
কৌস্তভ কুন্ডু উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছেন ৪৯২। মেধাতালিকায় তিনি রয়েছেন পঞ্চম স্থানে। সপ্তম হয়েছেন কৌস্তভের তুতো বোন কৌশিকী কুন্ডু। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। ভাই এবং বোন, দু’জনেই জানালেন তাঁরা ইঞ্জিনিয়ার হতে চান। ওই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন।
কৌস্তভ এবং কৌশিকীর বাড়ি আরামবাগের গৌরহাটি এলাকায়। একই পরিবার থেকে দু’জনের নাম মেধাতালিকায় থাকায় স্বাভাবিক ভাবে আনন্দিত পরিবার। আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ভাইবোনকে।
কৌস্তভ জানান, উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য প্রতি দিন ১০ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ফল ভাল হবে জানতাম। তবে এতটা ভাল হবে আশা করিনি।’’ আর কৌশিকী বলেন, ‘‘দিনে এত ঘণ্টা পড়তে হবে, এমন কোনও রুটিন ছিল না। যত ক্ষণ ভাল লাগত, পড়তাম। একটানা পড়াশোনা করতে পারতাম না। মাঝেমাঝে ‘ব্রেক’ নিতাম।’’ পড়াশোনার মাঝে গান শুনতে ভালবাসেন কৌশিকী। জানান, নাচ, ছবি আঁকা এবং গান শোনা তাঁর শখ।
কৌশিকীর বাবা কৃষ্ণেন্দু পারাবাগনান প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ে যা রেজাল্ট করেছে, তা সবটাই ওর নিজেও চেষ্টায়। আমরা শুধু ওকে গাইড করেছি। আমার ভাইপো কৌস্তভও ভাল ফল করেছে। তাই আমাদের পরিবার খুব খুশি।’’
চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছেন ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৪৪ জন। বুধবার ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল এ বার পাশের হার ৮৯.২৫ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেদের পাশের হার ৯১ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৮৬ শতাংশ। মোট ১১টি জেলায় পাশের হার ৯০ শতাংশরও বেশি। পাশের হারে জেলাগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯৬ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রাংশু সর্দার। দ্বিতীয় স্থানে যুগ্ম ভাবে রয়েছেন বাঁকুড়ার সুষমা পাল এবং উত্তর দিনাজপুরের আবু সামা। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মোট তিন জন। এঁরা হলেন তমলুকের চন্দ্রবিন্দু মাইতি, বালুরঘাটের অনুসূয়া সাহা এবং আলিপুরদুয়ারের পিয়ালি দাস। সবার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪।