জয়ী: ট্রফি নিয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের উল্লাস। নিজস্ব চিত্র
৮৬তম সিএসএ (চন্দননগর স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশন) সিনিয়র ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়নের শিরোপা উঠল বয়েজ অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাথায়। রানার্স মানকুন্ডু স্পোর্টিং ক্লাব। শনিবার শহরের শহিদ কানাইলাল ক্রীড়াঙ্গনে (কুটির মাঠ) ফাইনাল হয়। বয়েজ অ্যাথলেটিক টাইব্রেকারে জেতে। সেমিফাইনালে বয়েজ অ্যাথলেটিক ক্লাব নিউ স্পোর্টিংকে এবং মানকুন্ডু স্পোর্টিং মিলন সমিতিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল।
শনিবার ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ১-১। খেলার শুরুতেই মানকুন্ডুর বিকি গুপ্তর জোরালো শট আটকে দেন বয়েজের গোলরক্ষক। ৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে মানকুন্ডু স্পোর্টিংকে এগিয়ে দেন দীপ হালদার। ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকেই সমতা ফেরান বয়েজ অ্যাথলেটিকের নরহরি শ্রেষ্ঠ। টাইব্রেকারে বয়েজ অ্যাথলেটিক ১০-৯ ব্যবধানে জিতে শেষ হাসি হাসে। ফাইনালে রেফারি ছিলেন প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায়। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন বয়েজ অ্যাথলেটিকের সাজন সাহানি।
ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা জানান, নিউ স্পোর্টিংয়ের হেমন্ত ঘোষ লিগের সেরা গোলকিপার হন। সেরা স্টপার মিলন সমিতির রাকেশ মাঝি। চ্যাম্পিয়ন দলের সৌরিশ গোস্বামী সেরা মিডফিল্ডার মনোনীত হয়েছেন। কিছু দিন আগে খেলতে গিয়ে নদিয়ার ফুটবলার দেবজ্যোতি ঘোষের মৃত্যু হয়। দেবজ্যোতি চন্দননগরে বয়েজ অ্যাথলেটিক ক্লাবের হয়ে লিয়েনে খেলেছিলেন। অকালে প্রয়াত এই ফুটবলারের স্মৃতিতে সেরা মিডফিল্ডারের পুরস্কারটি দেওয়া হয়। সর্বাধিক গোলদাতা বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাবের সুরজিৎ হাঁসদা। তিনি ১০টি গোল করেছেন। তাঁকে সুরজিৎ সেনগুপ্তর স্মরণে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রানার্স দলের দীপ রায়। ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার হিসেবে চুনী গোস্বামীর স্মৃতিতে তাঁকে রেফ্রিজ়ারেটর দেওয়া হয়।
ফাইনালে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল, মেয়র পারিষদ (ক্রীড়া) অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন ফুটবলার স্বরূপ দাস, বর্তমান ফুটবলার প্রবীর দাস প্রমুখ।
চন্দননগরের ক্রীড়াকর্তারা জানান, সিনিয়র ফুটবল লিগ শুরু হয়েছিল গত ২৬ মার্চ থেকে। এই প্রতিযোগিতা লিগ ও নকআউট পদ্ধতিতে হয়। ২৫টি দলকে ৮টি গ্রুপে ভাগ করে লিগ হয়। পয়েন্টের ভিত্তিতে প্রতি গ্রুপের সেরা ২টি দলকে নিয়ে নকআউট পর্যায়ের খেলা হয়।