বিরোধীশূন্য ভদ্রেশ্বর পুরসভা। — নিজস্ব ছবি।
হুগলির ভদ্রেশ্বর পুরসভা বিরোধীশূন্য হল। শুক্রবার এক নির্দল এবং এক বিজেপি কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিলেন। এর ফলে পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডই চলে এল তৃণমূলের দখলে। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে শামিল হতেই বিজেপি ও নির্দল কাউন্সিলরদের তৃণমূলে যোগদান। পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির।
ভদ্রেশ্বর পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছিল তৃণমুল। বাকি দু’টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটিতে বিজেপি এবং একটিতে নির্দল প্রার্থী জিতেছিলেন। শুক্রবার, চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের হাত ধরে ভদ্রেশ্বর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সবিতা বেহেরা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর রঞ্জু রায় তৃণমূলে যোগ দেন।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘‘২২-এ ২২-এর জাদুর মূলে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন। আর এই উন্নয়নের শরিক হতেই ভদ্রেশ্বর পুরসভা বিরোধীশূন্য হল। বিজেপি একটি ওয়ার্ডেও নেই। কাউকে ভয় দেখানো হয়নি। ওঁরা নিজেরাই আবেদন করেননি। ভয় দেখিয়ে ভোটে জেতা যায় না, কিন্তু হারা যায়। ২০২১-এ বিজেপি সেটা দেখিয়ে দিয়েছে!’’
এই যোগদানকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। হুগলি জেলায় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘যেখানে বিজেপি জিতেছে সেখানেই ভয় দেখিয়ে তৃণমূল তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আগামী পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য করে রাখা যাবে না এবং বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটে জয়যুক্ত হবে।’’
শুক্রবারই হুগলিতে কয়েক জন তৃণমূলকর্মীও বিজেপিতে যোগদান করেন বলে জানা গিয়েছে।