BJP

মাটির গাড়ি আটকে অবরোধ বিজেপির, শুরু চাপানউতোর 

বিক্ষোভে ছিলেন বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ এবং দলের যুব মোর্চার সভাপতি রাজীব ঘরামি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৫৯
Share:

বিক্ষোভ: অসম লিঙ্ক রোডে চলছে অবরোধ। ছবি: বিশ্বজিৎ মণ্ডল।

গঙ্গার পাড় থেকে বেআইনি ভাবে মাটি কাটার অভিযোগে শুক্রবার মাটিবোঝাই চারটি ডাম্পার আটকে বলাগড়ের ডুমুরদহে অসম লিঙ্ক রোড অবরোধ করল বিজেপি। ভোর পাঁচটা থেকে ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভের জেরে ওই রাস্তায় যানজট হয়। পরে পুলিশ অবরোধ তোলে। এ নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে চাপানউতোর শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই চারটি ডাম্পারে মাটি ব্যবসার বৈধ কোনও কাগজপত্র মেলেনি। ফলে, মাটি চুরির নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ডাম্পারগুলি আটক করা হয়েছে। মাটি নিয়ে সেগুলি কুন্তীঘাটে যাচ্ছিল। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বেআইনি মাটি কারবারিদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে এক বিজেপি নেতার দিকে আঙুল ঘুরিয়েছে তৃণমূল।

বিক্ষোভে ছিলেন বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ এবং দলের যুব মোর্চার সভাপতি রাজীব ঘরামি। সুরেশ বলেন, ‘‘পোর্ট ট্রাস্টের জায়গা থেকে মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে। প্রশাসনকে জানানো হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বেআইনি মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তৃণমূলের যুবনেত্রী রুনা খাতুনের যোগ রয়েছে।’’

Advertisement

হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভানেত্রী রুনার পাল্টা দাবি, ‘‘মাটি ব্যবসার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপি নেতারা আমার নাম মুখে না বলে, প্রমাণ দেখান। প্রমাণ দেখাতে পারলে, রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’ তাঁর তোপ, ‘‘ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলে এক পক্ষ পথ অবরোধ করেছে। বিজেপির বলাগড়ের এক মণ্ডল সভাপতি তাঁর ইটভাটার জন্য মাটি কোথা থেকে পাচ্ছেন, সবাই জানে।’’

বিজেপির বলাগড়ের ১৮ নম্বর জেলা পরিষদ মণ্ডল সভাপতি বেচু নায়েকের ইটভাটা আছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। ভূমি দফতরে রাজস্ব দিয়ে মাটি নিয়ে থাকি।’’

অধুনা বহিষ্কৃত তৃণমূলের যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কয়েক বছর আগে মাটি কারবারিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছিলেন রুনা। শান্তনুও পাল্টা রুনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এ দিন সেই প্রসঙ্গে রুনা বলেন, ‘‘মাটি মাফিয়াদের সঙ্গে ওঁর (শান্তনু) যোগ ছিল কি না, মানুষ অনুভব করতে পারতেন। এর সঙ্গে আমি বা আমার দলের কোনও যোগ নেই।’’

বিডিও (বলাগড়) নীলাদ্রি সরকার জানান, মাটি কারবারে মাঝেমধ্যেই ব্লক ভূমি দফতর ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। ভূমি দফতরের অনুমতি ছাড়া মাটি কাটলে এফআইআর করা হচ্ছে। অনুমতির থেকে বেশি মাটি কাটলে, জরিমানা করা হচ্ছে। এ দিনের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement