ব্যান্ডেল স্টেশনে ঢুকেছে ট্রেন। নিজস্ব চিত্র
ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের কাজ ব্যান্ডেল স্টেশনে শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেই। এমনটাই দাবি করলেন রেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল থেকে বর্ধমান থেকে হাওড়াগামী কয়েকটি ট্রেন ব্যান্ডেল হয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। তবে এখনই পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলতে নারাজ রেল কর্তৃপক্ষ।গত ২৭ মে থেকে ৩০ মে বিকেল ৩টে পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা ছিল ব্যান্ডেল স্টেশন। কিন্তু সেই নির্ধারিত সময়ের আগেই ব্যান্ডেল জংশন হয়ে ট্রেন চলাচল করতে দেখা গিয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাত ১টা ২০ নাগাদ ইন্টারলকিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রথম ট্রেন ব্যান্ডেলে ঢোকে পরীক্ষামূলক ভাবে। এর পর রেলওয়ে সেফটি কমিশনার ছাড়পত্র দিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।’’এর পর অবশ্য হাওড়া এবং নৈহাটি রুটের কয়েকটি ট্রেনও ব্যান্ডেল স্টেশনে ঢুকতে দেখা গিয়েছে।
সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিন যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বেশি। চুঁচুড়া, হুগলি এবং ব্যান্ডেলের যাত্রীরা তো আছেনই। পাশাপাশি বর্ধমান এবং কাটোয়া শাখার যাত্রীরাও চুঁচুড়ায় ভিড় করছেন ট্রেন ধরার জন্য। যাত্রীদের ভোগান্তির অন্য একটি ছবিও নজরে এসেছে সোমবার। বহু যাত্রীকেই ট্রেন ধরার জন্য রেললাইন ধরে চুঁচুড়া অভিমুখে হাঁটতে দেখা যায়। অবশ্য সোমবার ব্যান্ডেল স্টেশন হয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চলাচলের খবরে খুশি তাঁরা। রাজেশ দাস নামে এক যাত্রীর কথায়, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে যে ভাবে আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে তা আর বলার নয়। অফিস থেকে ফেরার সময় যদি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায় তা হলে আমাদের খুব ভাল লাগবে।’’
চুঁচুড়ার বাসিন্দা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বললেন, ‘‘রেলের কাজে আমাদের আস্থা আছে। ব্যান্ডেলে যে নতুন ব্যবস্থা চালু হল তা আমাদের খুব কাজে আসবে।’’