বন্ধ পড়ে রয়েছে এক্স-রে করার ঘর। নিজস্ব চিত্র
দিন পাঁচেক ধরে এক্স-রে প্লেট (ফিল্ম) মিলছে না আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। ফলে, পরিষেবা পেতে নাকাল হচ্ছেন রোগীরা। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে চড়া দামে এক্স-রে করাতে হচ্ছে তাঁদের। এ নিয়ে রোগী এবং তাঁদের পরিবারের লোকদের ক্ষোভ ছিলই। শনিবারও অনেককে ফিরতে হল। কিছু রোগী বিষয়টানিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতিতে অভিযোগ জানান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন রোগীরা। তাঁরা জানান, হাত-পা ভাঙার এক্স-রে হলেও বুকের ক্ষেত্রে প্লেট নেই বলা হচ্ছে। এক্স-রে বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে, কবে প্লেট আসবে জানা নেই। আরামবাগের চাঁদুরের ছবি বেগমের অভিযোগ, ‘‘গত বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগে ডাক্তার কফ পরীক্ষা আর বুকের এক্স-রে করতে লিখেছেন। কফ পরীক্ষা হলেও তিন দিন ধরে এক্স-রে করাতে এসে ফিরতে হচ্ছে। কেন ফিরতে হবে প্রশ্ন করলে স্বাস্থ্যকর্মীরা মুখঝামটা দিচ্ছেন।”
হাসপাতাল সুপার সত্যজিৎ সরকার বলেন, “এক্স-রে ফিল্ম সরবরাহে কয়েকদিন ঘাটতি ছিল। শনিবার এসে গিয়েছে। সোমবার থেকে এক্স-রে পরিষেবা যথাযথ হবে।” রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন তথা আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা শনিবার হাসপাতালে এসে বিষয়টা খোঁজ নেন। তিনি পরে বলেন, “এক্স-রে’র বড় প্লেটে এসে গিয়েছে। সমস্যা থাকবে না।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে অস্থি সংক্রান্ত বহির্বিভাগ থেকেই প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ জন রোগীকে এক্স-রে করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এ ছাড়া, অন্তর্বিভাগে দুর্ঘটনা, অন্ত্র এবং বুকের সমস্যা নিয়ে ভর্তি রোগী মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৮০-৯০ জনের এক্স-রে হয়। এই অবস্থায় একদিনের জন্যেও ওই পরিষেবা বন্ধ হলেই ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।